বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
শাসক দলের অন্দরের খবর, এবারের পুরসভার নির্বাচনে শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের জেতা আসন ছেড়ে ৫ কিংবা ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ভোটে লড়তে পারেন উদয়নবাবু। সেজন্য ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রচারের পাশাপাশি দলীয় কর্মী সমর্থকদের মন বুঝতে সুকৌশলে ওয়ার্ড রাজনীতির জল মাপতে চাইছেন দাপুটে ওই নেতা।
যদিও ওয়ার্ড বদল নিয়ে উদয়নবাবু বলেন, এখনও কিছু ঠিক হয়নি। দলে এনিয়ে আলোচনাও হয়নি। দল আমাকে টিকিট দেবে কি না জানি না। সবটাই দলের উপর নির্ভর করবে।
পুরসভার চেয়ারম্যানের পাশাপাশি এবারের পুরভোটে আসন সংরক্ষণের গেঁড়োয় নিজের জেতা আসনে দাঁড়াতে পারছেন না ভাইস চেয়ারম্যান শুভময় চক্রবর্তীও। তাঁর জেতা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আসনটি মহিলা জেনারেল হওয়ায় তাঁকে অন্য ওয়ার্ডে দাঁড়াতে হচ্ছে। ভাইস চেয়ারম্যানকে তাঁর নিজের জেতা আসন ধরে রাখতে চাইলে সেক্ষেত্রে তাঁর স্ত্রীকেও ওই আসনে প্রার্থী করা হতে পারে।
শাসক দলের চেয়ারম্যানের জেতা আসন ছেড়ে অন্য নিরাপদ আসনের খোঁজের গুঞ্জন নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি, নিজের জেতা আসনে কোনও উন্নয়ন করেননি চেয়ারম্যান। সেখানকার মানুষ এবারের ভোটে তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করবেন। সেই আঁচ করতে পেরেই আগে ভাগেই নিরাপদ আসনের খোঁজ শুরু করেছেন চেয়ারম্যান সাহেব।
অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একটি অংশ মনে করছে, গত লোকসভা নির্বাচনে দিনহাটা শহরে বিজেপির ভালো ফল করায় বাড়তি চাপ বেড়েছে ঘাসফুল শিবিরের। পাশাপাশি প্রার্থী বাছাই নিয়েও তৃণমূলের অন্দরের বিরোধ দানা বাঁধছে। সেক্ষেত্রে নিরাপদ আসন কোনটা তা নিয়েও চুল চেরা বিশ্লেষণ চলছে দলের অন্দরে।
দিনহাটা পুরসভা গঠনের পর ১৯৮১ সালে প্রথম পুরভোট হয়। সেথেকে গত পুরসভা নির্বাচনেও একক সংখ্যা গরিষ্ঠতায় পুরবোর্ড দখল করে বামেরা। বর্তমানে দিনহাটা পুরসভার ১৬টি আসন রয়েছে। ২০১৫ সালের নির্বাচনে ১৬টির মধ্যে ফব ১০টি, সিপিএম ও তৃণমূল তিনটি করে আসনে জয়ী হয়। নির্বাচনের পর ফব’র ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী প্রার্থী প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী কমল গুহের ছেলে উদয়ন গুহকে দিনহাটা পুরসভার চেয়ারম্যান করা হয়। ভাইস চেয়ারম্যান করা হয় ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী সিপিএমের শুভময় চক্রবর্তীকে। এরপর ওই বছরের শেষের দিকে ফব ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন উদয়ন গুহ। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেন ফব’র বাকি আট কাউন্সিলার ও ভাইস চেয়ারম্যানও। গত লোকসভা ভোটে তৃণমূলের দখলে থাকা পুরসভার ১৬টি আসনের মধ্যে ১৫টি আসনেই তৃণমূলের থেকে বেশি ভোট পায় বিজেপি।
দিনহাটা বাসিন্দা বিজেপির জেলা সম্পাদক সুদেব কর্মকার বলেন, তৃণমূল পরিচালিত দিনহাটা পুরসভা দুর্নীতির আখড়া হয়েছে গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে পুরসভা এলাকার মানুষ ভোট বাক্সে তার উত্তর দিয়ে দিয়েছেন। চেয়ারম্যান তাঁর নিজের নির্বাচনী ওয়ার্ডেও দলের প্রার্থীকেও জেতাতে পারেননি। তাই তিনি যে ওয়ার্ডেই প্রার্থী হোন, কোথাও জিততে পারবেন না।
ফব’র জেলা সম্পাদক অক্ষয় ঠাকুর বলেন, দিনহাটা শহরের মানুষ বরাবর ফব’কে চায়। গত পুরসভা ভোটাররা আমদেরকেই ভোট দিয়েছিলেন। বর্তমান চেয়ারম্যান সিংহ প্রতীকে জয়ী হয়েছিলেন। এবার তিনি ওই ওয়ার্ডে দাঁড়ালে হেরে যাবেন বুঝেই আগেই সরে যাচ্ছেন। দিনহাটার মানুষ বিশ্বাস ভঙ্গের জবাব দেবেন।