বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
এব্যাপারে মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, বাপন প্রচণ্ড চতুর ও অপরাধমনস্ক ছিল। ধরা পড়ার পর সে কিছুতেই নিজের দোষ কবুল করতে চায়নি। উল্টে পুলিসকে বারবার বোকা বানানোর চেষ্টা করে। তদন্ত ঘুরপথে চালিত করার জন্য সে নানা গল্প ফাঁদে। যদিও পরে টানা জেরার মুখে সে ভেঙে পড়ে এবং খুনের বিষয়টি স্বীকার করে নেয়। বাপন আমাদের জানিয়েছে, শিলিগুড়ি থেকে মালদহে ফিরে আসার পর ওই যুবতীর সঙ্গে তার যোগাযোগ কমে গিয়েছিল। তবে মাঝেমধ্যে ওই যুবতী মালদহে এসে বাপনের সঙ্গে দেখা করত। তারা একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। প্রায় প্রতিবারই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও বাপন মোবাইলে তুলে রাখত। স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে ওই যুবতীকে বিয়ে করার পরিকল্পনা ছিল বাপনের। তবে সম্প্রতি অন্য কোনও ব্যক্তির সঙ্গে যুবতীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলে বাপন সন্দেহ করতে শুরু করে। সেই সন্দেহের বশেই সে শিলিগুড়ির ওই যুবতীকে খুন করে।
উল্লেখ্য, গত ৫ ডিসেম্বর ইংলিশবাজার থানার কোতোয়ালি এলাকার একটি আমবাগানে ওই যুবতীর দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। দেহ উদ্ধারের পর প্রায় এক সপ্তাহ ধরে মৃতার পরিচয় জানার জন্য নানাদিকে হাতড়ে বেড়ায় পুলিস। শেষে এক সপ্তাহের মাথায় পুলিস ওই যুবতীর নাম ও পরিচয় জানতে পারে। শিলিগুড়ির বাসিন্দা ওই যুবতীর সঙ্গে কোতোয়ালির বাসিন্দা বাপন ঘোষ ওরফে ছোটনের সম্পর্ক ছিল। দুধ ব্যবসায়ী বাপন বিবাহিত। অন্যদিকে, শিলিগুড়ির যুবতী ডিভোর্সি। শিলিগুড়ির একটি পপকর্ন কারখানায় কয়েক বছর আগে কাজ করার সূত্রে বাপনের সঙ্গে ওই যুবতীর পরিচয় হয়। তারপর তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। বছর দুয়েক আগে বাপন শিলিগুড়ি থেকে মালদহে এসে দুধের ব্যবসা শুরু করলেও ওই যুবতীর সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। যুবতী বেশ কয়েকবার মালদহে এসে বাপনের সঙ্গে দেখাও করেন। ওই সময় তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। গত ২ ডিসেম্বর যুবতী ফের মালদহে আসেন। মালদহ টাউন স্টেশন থেকে তাঁকে নিয়ে বাপন অজ্ঞাত জায়গায় চলে যায়। সেখানে প্রথমে যুবতীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। পরে প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এক তদন্তকারী আধিকারিক বৃহস্পতিবার বলেন, বাপনের পক্ষে ওই যুবতীকে বন্ধ ঘরে শ্বাসরোধ করে খুন করা সম্ভব। তবে সেখানে থেকে দেহ তুলে নিয়ে গিয়ে আমবাগানে জ্বালিয়ে দেওয়া তার একার পক্ষে সম্ভব নয়। ওই ঘটনায় সে কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবের সহায়তা নিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে এব্যাপারে বাপন এখনও সেভাবে মুখ খোলেনি। আমরা তার কয়েকজন বন্ধুকে আটক করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে। তবে খুনের ঘটনায় ধৃতের স্ত্রীর জড়িত থাকার প্রমাণ মেলেনি। তাই এদিন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাপনের সঙ্গে তাকেও আমরা বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিলাম।