শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
বিজেপি জেলা কমিটির একাংশ বলেন, বর্তমান জেলা সভাপতি অনেক দিন ধরে দলের কাজ করছেন। এবারে নতুন মুখ তথা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন ব্যক্তিকেই জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হোক। সামনের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তির নাম পাঠানো হয়েছে। জেলার নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে বর্তমান জেলা সভাপতির সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরে বিরোধ তৈরি হয়েছে। এবারে গঙ্গারামপুর মহকুমা থেকে জেলা সভাপতির নির্বাচন করার জোরালো দাবি উঠেছে।
বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি। অনেকেরই নাম প্রস্তাব করেছেন দলের ৪২ জন সদস্য। দল যাঁকে মনে করবে তাঁকেই দায়িত্ব দেবে। সভাপতি কে হবেন সেব্যাপারে আমার কাছে কোনও আভাস নেই। আমি বিজেপি জেলা সভাপতি হিসেবে চার বছর সংগঠনের দায়িত্ব সামলেছি। দল মনে করলে অন্য কাউকে দায়িত্ব দিতেই পারে।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক স্বরূপ চৌধুরী বলেন, আমাদের ২১টি মণ্ডল এবং ২১টি জেলা পরিষদীয় সদস্য জেলা সভাপতি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। সদস্যরা মুখবন্ধ খামে তাঁদের মতামত দিয়েছেন। কে হবে বিজেপি জেলা সভাপতি তা দল ঠিক করবে। আমি এবিষয়ে কিছু জানি না। জেলা বিজেপির একাংশ মনে করে কাজের সুবিধার্থে গঙ্গারামপুর মহকুমা থেকে জেলা সভাপতি নির্বাচন করা উচিত।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিজেপি জেলা সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই বর্তমান জেলা সভাপতিকে পিছনে ফেলে নতুন জেলা সভাপতির দৌড়ে রয়েছেন দুই সংঘ পরিবারের সদস্য। বরাবরই জেলা সদর বালুরঘাট থেকে বিজেপির জেলা সভাপতি হয়ে আশায় এবারে বিজেপির একটা বড় অংশ মনে করছেন এবারে রাজনৈতিক সুবিধার্থে গঙ্গারামপুর মহকুমা থেকে জেলা সভাপতি নির্বাচন করা হোক। শেষ ৯০ এর দশকে আশিস মজুমদার গঙ্গারামপুর থেকে বিজেপির জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। তারপর গঙ্গারামপুর মহকুমার আর কেউ জেলা সভাপতি হতে পারেননি। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, বর্তমান মন্ত্রী দেবশ্রী রায় চৌধুরী ও রজত রায় যে সময় বিজেপির জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন তখন তাঁদের যথেষ্ট সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল। তারপর থেকে সেই রকম সাংগঠনিক দক্ষ ব্যক্তিকে আর পাওয়া যায়নি।