কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
সরোজিনী নগর, কিদোয়াই নগরে সরকারি আবাসন ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তৈরি হচ্ছে নতুন করে। গত তিন-চার বছরে এলাকার বস্তিও তুলে দেওয়া হয়েছে। ভোটাররা চলে গিয়েছেন অন্যত্র। নাম পড়েছে কাটা। অনেকে প্রয়াতও। তাই কোন পক্ষের সমর্থক অধিক কমেছে, হিসেব কষছে কংগ্রেস-বিজেপি যুযুধান দু পক্ষই। বিজেপি এবার দু’বারের সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষি লেখিকে টিকিটই দেয়নি।
বদলে প্রথমবারের জন্য ভাগ্য পরীক্ষায় নেমেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বাঁশুরি স্বরাজ। বিজেপির দাপুটে নেত্রী প্রয়াত সুষমা স্বরাজের কন্যা। বিপরীতে আম আম পার্টির সোমনাথ ভারতী। মালব্য নগরের বিধায়ক। যা এই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে। নিউ দিল্লির অন্তর্গত ১০টি বিধানসভাই আপের দখলে। ফলে লড়াইটা তাঁর পক্ষে অনেকটাই সহজ বলেই মনে করছে সাধারণ ভোটাররাও।
সম্ভ্রান্ত এলাকা হজ খাসের বাসিন্দা মৃণাল মণ্ডলের কথায়, এখানে বরাবরই ভোট হয় শান্তিপূর্ণ। কাজের লোকই পায় সমর্থন। এবার তো মোদি ঝড় দেখছি না। আবার গোল মার্কেট এলাকায় সরকারি আবাসনের বাসিন্দাদের একাংশের সমর্থন বোঝা গেল যেতে পারে বিজেপির পক্ষেই। পাহাড়গঞ্জের নেহরু বাজারের দোকানদার দিলবর নারুলার সোজাসাপ্টা মন্তব্য, ‘হতে পারে কেন্দ্রে ফের সরকারে আসবেন মোদিজি। কিন্তু স্রেফ এই কেন্দ্র কেন, দিল্লির সাত আসনই জিতবে আপ-কংগ্রেস। এটা ভোটারদের গ্যারান্টি।’ বলেই হেসে ফেলল তরুণ ছেলেটি। করোলবাগ এলাকার আজমল খাঁ মার্কেটের বাসিন্দা মীনা বারোলিয়ার প্রশ্ন, কোটি কোটি টাকা খরচ করে নতুন সংসদ ভবন, সেন্ট্রাল ভিস্তা করে সাধারণের কী লাভ? শহর সাজছে ভালো কথা। কিন্তু সাধারণের সুরাহা কই?
১৯৫২ সাল থেকে ভোট হচ্ছে নিউ দিল্লি কেন্দ্রে। দিল্লির বাকি ছয় কেন্দ্র কোনওটি তৈরি হয়েছে ১৯৫৬তে। কোনওটি ২০০৮ সালে। নিউ দিল্লি কেন্দ্র থেকেই সাংসদ হয়েছিলেন সুচেতা কৃপালানি, অটলবিহারী বাজপেয়ি, লালকৃষ্ণ আদবানি, সুপারস্টার রাজেশ খান্নার মতো ব্যক্তিত্ব। ১৯৭১ সালে সাংসদ হয়েছিলেন প্রবাসী বাঙালি শ্রীমতী মুকুল বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ফলে নিউ দিল্লি লোকসভা কেন্দ্রটি যে ঐতিহ্যশালী, বলাই বাহুল্য। এখনও পর্যন্ত নিউ দিল্লি কংগ্রেস জিতেছে সাতবার। বিজেপিও তাই। ভারতীয় জনসংঘ এবং জনতা পার্টি দু’বার করে। আম আদমি পার্টি একবারও নয়। ফলে এবার যারা জিতবে, তারাই গড়বে রেকর্ড। ইন্ডিয়া জোট জিতলে খাতা খুলবে দিল্লির শাসক দল। এবার দিল্লির ভোট তাই কেজরিওয়ালের কাছে প্রেস্ট্রিজ ফাইটও বটে।