কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
ডেথ ক্লেম মেটানোর সময় অন্যান্য নথির সঙ্গে আধার ও ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর যাচাই করা হয়। যদি দেখা যায় ইউএএন বা দপ্তরে দেওয়া পিএফ গ্রাহকের তথ্যের সঙ্গে আধারের তথ্যের মিল নেই, তাহলে কর্মীর পরিবারের পাওনা টাকা আটকে দেওয়া হয়। তা নিয়ে দপ্তরে বিস্তর অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই সমস্যা কাটাতে এগিয়ে এসেছে ইপিএফও। তারা বলছে, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে আধারে দেওয়া তথ্য অসম্পূর্ণ, অথবা আধার কার্ডই নেই, অথবা আধার নিষ্ক্রিয় অথবা আধারে এমন কিছু প্রযুক্তিগত ত্রুটি রয়ে গিয়েছে, যার সঙ্গে আধার কর্তৃপক্ষ বা ইউআইডিএআই’য়ের ডেটাবেসের মিল নেই। পিএফ গ্রাহকের মৃত্যুর পর যখন তাঁদের পরিবার অফিসে এসে ক্লেমের জন্য আবেদন করছেন, তখন এই ত্রুটিগুলির জন্য টাকা দেওয়া যাচ্ছে না। তাহলে উপায়?
দপ্তর নির্দেশিকা জারি করে বলেছে, যেখানে গ্রাহক জীবিত নেই, সেখানে আধারের সংশোধন সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আধার ছাড়াই ক্লেম বা টাকা মেটানোর উদ্যোগ নিতে হবে। এক্ষেত্রে কর্তব্যরত অফিসার অন্য সব নথি পরীক্ষা করে দেখবেন এবং আধারের ত্রুটির জন্য তা গ্রহণ না করে তিনি ‘অস্থায়ী পদক্ষেপ’ হিসেবে অনুমোদন দেবেন। এক্ষেত্রে পরিবারের তরফে টাকা পেতে অসুবিধা হবে না বলেই দাবি করেছেন দপ্তরের কর্তারা। এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে তখনই, যখন ইউএএন সংক্রান্ত সব তথ্য সঠিক থাকবে কিন্তু আধারে সমস্যা থাকবে। যদি দেখা যায়, আধারের সব তথ্য ঠিক আছে এবং ইউএএনে ত্রুটি রয়েছে, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইউএএনে’র তথ্য ত্রুটিহীন করবে এবং তা আধারের সঙ্গে সংযুক্ত বা যাচাই করবে। তারপরই ক্লেম পাবে পরিবার। ইপিএফও’র কেন্দ্রীয় অছি পরিষদের সদস্য শিবপ্রসাদ তেওয়ারি বলেন, ‘বহু ক্ষেত্রেই আধারের তথ্যগত ত্রুটির কারণে কর্মচারীরা ক্লেম পান না। ত্রুটি থাকলে, আধারের সঙ্গে ইউএএনে’র সংযুক্তিও হয় না। এতে পিএফ গ্রাহকের টাকা পেতে ঢিলেমি হয়। মৃত্যুর পর পরিবারের টাকার দরকার হলেও, ওই ধরনের প্রশাসনিক কারণে তা আটকে থাকে। সেই সঙ্কট কাটাতে কেন্দ্রীয় সরকার উদ্যোগী হওয়ায়, তা বহু শ্রমিকের পরিবারকে অনেকটা সুরাহা দেবে।’