নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: নির্বাচনী জনসভায় ভাড়া করা ভিড় কোনও অভিনব প্রবণতা নয়। বহু বছর ধরেই লরি, বাস, টেম্পো করে জনসভায় লোক নিয়ে আসা হয়। কোনও ক্ষেত্রে যাদের আনা হয়, তারা দলের সমর্থক। আবার কোনও ক্ষেত্রে সাধারণ গরিব জনতা। যারা ভোটের মরশুম অথবা সারাবছর ধরেই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বিভিন্ন দলের থেকে টাকা এবং খাবার দাবারের বিনিময়ে সভায় ভিড় জমায়। কমবেশি সব রাজ্যেই এই চিত্র দেখা যায়। দিল্লির যে কোনও রাজনৈতিক সমাবেশ অথবা কর্মসূচি তার ব্যতিক্রম নয়। জনসভা, বিক্ষোভ, পদযাত্রা, রোড শো, প্রতিটি ক্ষেত্রেই সব দলই দিল্লির প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জ, শহরের কেন্দ্রস্থল এমনকী উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানার সীমানাবর্তী এলাকাগুলি থেকে জনতাকে নিয়ে আসে। চলতি লোকসভা ভোটেও সেই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বড়সড় যে পার্থক্য চোখে পড়ছে, তা হল, সভায় আসার রেট কমে গিয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, দারিদ্রই তার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, আগে যে কোনও সভায় এক বেলা অথবা কয়েক ঘণ্টার জন্য হাজির থেকে চিৎকার করা কিংবা দলের পতাকা দোলানো কিংবা রোড শোতে হাঁটা ইত্যাদির জন্য ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দেওয়া হতো, সেটাই এখন এক দেড়শো টাকায় হয়ে যাচ্ছে।
সোমবারই পূর্ব দিল্লির একের পর এক এলাকায় সভা করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেখানেই আগত জনতার মুখে জানা গেল, তাদের বেশ কয়েকজন মাত্র এক দেড়শো টাকার বিনিময়েই সভায় আসতে রাজি হয়ে গিয়েছেন। একইভাবে আম আদমি পার্টি অথবা কংগ্রেসের সভার ক্ষেত্রেও এই ঘোস্ট ক্রাউডের দর কমে গিয়েছে। খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে চললেও, রাজনৈতিক দলগুলির কাছে ভিড়ের দাম কমে গিয়েছে। কারণ বেকারত্ব ও দারিদ্র!