সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের ফারুকাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের। ওই আসনে ভোট হয়েছে গত ১৩ মে। সেলফি মোডে তোলা ভাইরাল ভিডিও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, কিশোর বয়সি একটি ছেলে বুথে গিয়ে পরের পর বিজেপির বোতামে আঙুল টিপছে। সে-ই দেখাচ্ছে, ভোট গিয়েছে বিজেপিতেই। ভিভিপ্যাট মেশিনে দেখা যাচ্ছে বিজেপির নির্বাচনী প্রতীক পদ্মফুলের ছবি। আধার কার্ড দেখিয়ে ওই ‘ছাপ্পা ভোটদাতা’ রীতিমতো গর্বের সঙ্গে একটি করে ভোট দিচ্ছে আর বলছে, ‘এই দেখুন আমি এতগুলো ভোট দিলাম। আটটা।’ বুথের আধিকারিকের সামনে কীভাবে এক কিশোর বিজেপি এমপি মুকেশ রাজপুতের নামের পাশে পরপর ভোট দিয়ে গেল? এই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। অভিযোগের তির উঠেছে বিজেপি নেতা অনিল সিং ঠাকুরের পরিবারের দিকে। গেরুয়া পার্টির পক্ষ থেকে যদিও অভিযোগ সাফ অস্বীকার করা হয়েছে। সমাজবাদী পার্টির প্রশ্ন, তাহলে ভিডিওতে যেটা দেখা যাচ্ছে, সেটা কী? ইতিমধ্যেই ওই কেন্দ্রে পুননির্বাচনের দাবি জানিয়েছে অখিলেশ যাদবের দল। বিজেপির মুখপাত্র গোপালকৃষ্ণ আগরওয়াল বলেছেন, ‘এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করলে কমিশন নিশ্চয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তবে বিরোধীরা হারের ভয়েই লাগাতার বিজেপির দিকে আঙুল তুলছে।’ বিতর্ক সামলাতে অবশ্য ওই বুথে পুনর্নির্বাচনের পাশাপাশি দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচনী আধিকারিকদের সাসপেন্ড করার নির্দেশও দিয়েছে কমিশন।
ছাপ্পাভোটের ভিডিও নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস। ভিডিওটি কমিশনকে ট্যাগ করে প্রশ্ন, ‘কবে ঘুম ভাঙবে?’ অখিলেশ যাদব বলেছেন, ‘আসলে বিজেপির বুথ কমিটি লুট কমিটিতে পরিণত হয়েছে।’ অখিলেশের সুরেই তোপ দেগে সমাজবাদী পাটির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি কিরণময় নন্দের আক্রমণ, ‘নির্লজ্জ এই রিগিংই প্রমাণ করছে, হারের আতঙ্কে ভুগছে বিজেপি। কমিশনই বা কী করছে? কী করে একজনকে অতক্ষণ ভোট দিতে দিল? যে বুথে এটি ঘটেছে, সেখানে অবশ্যই পুনর্নির্বাচন করা উচিত।’ তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যে বিজেপিরই বি টিম, তা ফের প্রমাণ হচ্ছে। মডেল কোড অব কনডাক্ট তো আগেই মোদি কোড অব কনডাক্টে পরিণত করেছে কমিশন। এখন ছাপ্পাভোট করাতে সাহায্য করছে। কারণ মোদি জানেন, এবার তাঁকে গদি ছাড়তেই হবে। তাই ছাপ্পা ভোট করিয়ে ৪০০ পেরতে চাইছেন। আসলে ৪২০-র মতোই কাজ করছে বিজেপি। কমিশন রেফারি হয়েও লাল কার্ড দেখাচ্ছে না। এই কি নিরপেক্ষ ভোট? জবাব দিক কমিশন।’