নয়াদিল্লি, ১৫ জানুয়ারি (পিটিআই): সেনা দিবসের অনুষ্ঠানে ৩৭০ ধারা খারিজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে। বুধবার দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের করিয়াপ্পা প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে তিনি ৩৭০ ধারা খারিজের সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করলেন। সেনাপ্রধান বলেন, জাতীয় মূলস্রোতের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের সংযুক্তিকরণে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রমাণিত হবে। সরাসরি পাকিস্তানের নাম না করে নারাভানের দাবি, ৩৭০ ধারা খারিজের সিদ্ধান্তের ফলে পশ্চিমের প্রতিবেশী আমাদের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধের পরিকল্পনা করতে পারছে না। অন্যদিকে, ৭২তম সেনাদিবসে এদিন বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, আজ সেনাদিবস। দেশের সেবায় আত্মবলিদান দেওয়া আমাদের বীর সেনাদের সেলুট জানাই। আসুন আমরা শহিদদের স্মরণ করি ও তাঁদের পরিবারদের প্রিয়জন হারানোর বেদনা সামলানোর শক্তি জোগাই।
এদিন দিল্লি ক্যান্টনমেন্টে সেনাদিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেন সেনাপ্রধান। জেনারেল নারাভানে বলেন, সশস্ত্র বাহিনীগুলি কোনওভাবেই সন্ত্রাসবাদ বরদাস্ত করবে না। যারা সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়, তাদের মোকাবিলায় আমাদের কাছে বহু দাওয়াই আছে। সেগুলির প্রয়োগে আমরা দু’বার ভাবব না। সেনাপ্রধানের আরও বক্তব্য, গত বছর নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দেশকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। শুধুমাত্র ছায়াযুদ্ধের মোকাবিলা করা নয়, অন্য পরিস্থিতিও ছিল। তা সে নিয়ন্ত্রণ রেখা হোক বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা, সর্বশক্তি দিয়ে ও সক্রিয়ভাবে আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। নারাভানের দাবি, দেশের উত্তর সীমান্তের (চীনের সঙ্গে) পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণ রয়েছে।
সেনাদিবসের অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধানের দাবি, জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ রেখার পরিস্থিতির যোগসূত্র রয়েছে। যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, আজ আমরা তাঁদের স্মরণ করছি। তাঁদের এই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলবে। বিগত কয়েক দিনে তুষারধসের কারণে আমাদের কিছু সেনাকে শহিদ হতে হয়েছে। আমরা তাঁদের এই আত্মত্যাগকে চিরকাল স্মরণ করব। উল্লেখ্য, সেনা প্যারেডে এদিন প্রথমবার সামনে আনা হল ধনুষ ও কে-বজ্র গান সিস্টেম।