কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
কিন্তু বিজেপিকে এই এজেন্ডা থেকে সরানো যায়নি। আর সেই এজেন্ডার প্রতিটি কর্মসূচির শরিক ছিলেন রবিশঙ্কর। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর সেই বিতর্কিত জমির মালিকানা নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বিচার শুরু হয় ২০০২ সালে। সেই মামলায় ‘রামলালা বিরাজমান’-এর হয়ে সওয়াল করেছিলেন রবিশঙ্কর। মূলত তাঁর সওয়ালের উপর ভিত্তি করেই অযোধ্যার এই বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে অধিকার প্রতিষ্ঠা হয় রামলালার। ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দেয়, এই জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রামলালার মধ্যে সমানভাবে ভাগ হবে।
২০১১ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু রবিশঙ্করকে দমানো যায়নি। শীর্ষ আদালতে এই মামলা চলাকালীন প্রতি মুহূর্তে আইনজীবীদের তথ্য ও বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করে গিয়েছেন নীরবে। অবিরত সমন্বয় রক্ষা করে গিয়েছেন বিজেপি, সঙ্ঘ পরিবার এবং আবেদনকারীদের মধ্যে। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর শেষপর্যন্ত সেই বিতর্কিত জমি তো বটেই, তার সংলগ্ন ৬৭ একর জমিও পেলেন হিন্দুরা। সুপ্রিম কোর্টে মান্যতা পেয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্টে করা রবিশঙ্করের সওয়াল-জবাবও।
বর্তমানে মোদি সরকারের আইন, যোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। আর সুপ্রিম কোর্ট যখন অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করল, কাকতালীয়ভাবে তখন বিহারেরই পাটনা সাহিব লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তিনি। রায়ের পর শুধু বলেছেন, ‘অভূতপূর্ব এবং ঐতিহাসিক রায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, এই রায়ে ঐক্যবদ্ধ ভারতের মূল্যবোধই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’