উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
খুনের পিছনে রাজনৈতিক শত্রুতা থাকতে পারে বলেই মনে করছে পুলিস। রাজ্যের ডিজি ওম প্রকাশ সিং জানিয়েছেন, ‘আমরা পুরনো শত্রুতার কথা জানতে পেরেছি। এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক শত্রুতা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পেয়েছি।’ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সাত জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ পুলিসের ডিজি। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হাতে পেয়েছি। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা মূল অপরাধীদের ধরতে পারব বলে আশা করছি।’
কর্মী খুনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য। তিনি বলেন, ‘একজন পার্টির খুন হওয়া সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। ওঁর খুনিরা মাটির নীচে লুকিয়ে থাকলেও, তাদের ধরা হবেই। এই ঘটনার পর গোটা আমেথিতে শোকের ছায়া নেমেছে।’ খুনিদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী রীতা বহুগুনা যোশিও।
নির্বাচনী প্রচারপর্ব থেকেই খবরের শিরোনামে রয়েছে বারৌলিয়া গ্রাম। এই গ্রামেই জুতো বিলি করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি। সেই কাজে অংশ নিয়েছিলেন সুরেন্দ্র। রাহুল গান্ধীকে অপমান করতেই স্মৃতি এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। যদিও, ভোটযুদ্ধে শেষ হাসি হেসেছেন বিজেপি প্রার্থীই। গান্ধী পরিবারের খাসতালুকেই রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন স্মৃতি ইরানি। রবিবার দিল্লিতে বসে এই খুনের খবর পেয়েই আমেথি রওনা হন তিনি। বিকেলে সুরেন্দ্র সিংয়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন স্মৃতি। এবং শেষকৃত্যের সময় কাঁধে করে অন্যদের সঙ্গে তাঁর মরদেহ বহন করেন।
স্মৃতি ইরানির ‘বিজয় যাত্রা’য় অংশ নেওয়ার কারণেই বাবাকে খুন হতে হল বলে মনে করছেন সুরেন্দ্রর ছেলে অভয় সিং। সংবাদ সংস্থাকে তিনি জানিয়েছে, ‘আমার মনে হয় আমাদের উচ্ছ্বাস দেখে কংগ্রেসের কিছু সমাজবিরোধীর ভালো লাগেনি। ওরা হতাশ হয়ে পড়েছিল। এবং গতকাল রাতেই এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটা ঘটল।’ হার মেনে নিতে না পেরেই কংগ্রেসের লোকরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে মনে করছেন আমেথির বিজেপি কনভেনর রাজেশ অগ্নিহোত্রী।