সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
উল্লেখ্য, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনা অস্থায়ী মহিলাকর্মী পুলিসকে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছিলেন, গত ২ মে ঘটনার পর তিনি যখন কাঁদতে কাঁদতে রাজ্যপালের ঘর থেকে বের হন, সেই সময় তাঁকে রাজভবনের তিন কর্মচারী বাধা দেন। রাজভবন থেকে বের হতে দেননি। পূর্ত দপ্তরের দেওয়া সিসিটিভি ফুটেজে যা প্রমাণ্য হিসেবে ধরা রয়েছে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতেই কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিস ১৫ মে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১ (বেআইনিভাবে আটকে রাখা) এবং ১৬৬ (জ্ঞাতসারে সরকারি কর্মচারী ক্ষতির উদ্দেশ্যে কাউকে আটক করলে) ধারায় তিন কর্মচারী এস এস রাজপুত, কুসুম ছেত্রী ও সন্তলালের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। এই মামলাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন কর্মচারীকে নোটিস দিয়েছে কলকাতা পুলিসের স্পেশাল এনকোয়ারি টিম। রাজভবন সূত্রে খবর, এফআইআরে অভিযুক্ত এস এস রাজপুত রাজ্যপালের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি, কুসুম ছেত্রী রুম অ্যাটেনডেন্ট এবং সন্তলাল চাপরাশি হিসেবে কর্মরত বলে জানা গিয়েছে।
প্রশাসনের ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই শ্লীলতাহানি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিস কোনও এফআইআর দায়ের করতে পারেনি। কারণ, পদে থাকা একজন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করা যায় না। তাঁর সাংবিধানিক রক্ষাকবচ রয়েছে। তাই ঘুরপথে রাজভবনের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে, কলকাতা পুলিস পরোক্ষে রাজ্যপালের ওপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নিল। যাতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এবার কর্মচারী মহলেও ক্ষোভের জন্মায়।