শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাত বলেন, রাজ্যের দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ডেঙ্গুপ্রবণ এলাকার মধ্যে পড়ছে। তিলজলা, পিকনিক গার্ডেন, সার্ভে পার্ক, যাদবপুর প্রভৃতি এলাকাও ডেঙ্গুর দিক থেকে স্পর্শকাতর। আর কলকাতাতে গার্ডেনরিচ, মানিকতলা, ট্যাংরা, উল্টোডাঙা, টালিগঞ্জ প্রভৃতি এলাকা মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২৯০০। রাজারহাট, বিধাননগর, কেষ্টপুর, জ্যাংরা, হাতিয়ারা ইত্যাদি জায়গায় ৯৭৬ জন। অন্যদিকে দক্ষিণ দমদমের প্রমোদনগর, শ্রীভূমি, লেকটাউন, বাঙ্গুর মিলিয়ে ৪৫৬ জন। ডেঙ্গু দিনদিন বেড়েই চলেছে। রাজ্য সরকার ডেঙ্গু মোকবিলায় থ্রি ডি ম্যাপিং-এর ব্যবস্থা করেছে ন্যাটমোর সঙ্গে মিলে। কিন্তু, ন্যাটমোর অধিকর্তাই জানিয়েছেন, গোটা কাজ করতে এক বছর সময় লাগবে। ততদিন আমরা কি করব? দার্জিলিং-এর মতো জায়গায় ডেঙ্গু হচ্ছে। গ্রামীণ এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ডেঙ্গু হচ্ছে। স্বাস্থ্যসচিবের দোষ ছিল। তিনি ডেঙ্গুর পরিসংখ্যান একবার জানিয়ে দিয়েছিলেন। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল। সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, কলকাতার ডেপুটি মেয়র পর্যন্ত বলছেন, ব্যর্থতার দায় স্বাস্থ্য দপ্তরের।
এরপর বলতে উঠে পরিসংখ্যান দিয়েই বিরোধীদের তুলোধোনা করেন মমতা। বলেন, ২০১৯ সালে রাজস্থানে সোয়াইন ফ্লুতে কত মারা গিয়েছেন জানেন? ২০৮ জন। ৫ হাজার ৯২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। কংগ্রেস বা সিপিএম-এর নেতা কি উত্তর দেবেন? গুজরাতে ৪ হাজার ৮৪১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ১৫১ জন। মহারাষ্ট্রে ২ হাজার ২৭১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ২৪০ জন। মধ্যপ্রদেশে ৭২০ জনের মধ্যে ১৬৫ জন, অসমে ৫৯০ জনের মধ্যে ৯৪ জনেরও মৃত্যু হয়েছে সোয়াইন ফ্লুতে। অসমে তো বিজেপি সরকার। কী জবাব দেবে?
মমতা বলেন, ২০১৮ সালে অ্যাকিউট এনসেফেলাইটিস সিনড্রোম বা এইএসএস-এ উত্তরপ্রদেশে ৩ হাজার ৮০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ২৩০ জন। বিজেপি সরকারের অসমে ১ হাজার ৪৯২ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। মারা গিয়েছিলেন ১৮৩ জন। সিপিএম-এর আমলে ১৯৯৫ সালে এই রাজ্যে ৯১ হাজার ১৪ জন ম্যালেরিয়ার আক্রান্ত হয়েছিলেন। ১৯৯৭ সালে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ২০৯ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন। মারা যান ৭৪ জন। ১৯৯৮ সালে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। মারা গিয়েছিলেন ৭৭ জন। ’৯৯ সালে ২ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৮০ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন। মারা যান ১৪৪ জন। সিপিএম জমানায় ২০০০ সালে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩২২ জন আক্রান্ত হন। মারা যান ১০৩ জন। ২০০১ সালে ওই রোগেই আক্রান্ত হন ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৩ জন। মারা যান ১৫১ জন। ২০০২ সালে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৪২১ জন। মারা যান ১৫২ জন। ২০০৩ সালে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ২ লক্ষ ৩৩ হাজার ৮৩৩ জন। মারা যান ২১৪ জন। এভাবে ২০১০ সাল পর্যন্ত বলা যায়। এরপরই মমতার তীব্র কটাক্ষ ছিল, কী কমরেড, তখন কী করছিলেন?