কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
এদিকে, দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোর দখল নিতে বিজেপি নেতারা মাঠে নেমে পড়েছেন। জেলা ও রাজ্য অফিসে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের দিয়ে পুজো উদ্বোধনের কার্যত ধুম পড়েছে। এক্ষেত্রে দুর্গাপুজোর মতো অমিত শাহ কিংবা কেন্দ্রীয় হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর জন্য দরবার করা হচ্ছে না। কালীপুজোর ফিতে কাটার দৌড়ে কয়েকগুণ এগিয়ে আছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তারপর রয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং, সায়ন্তন বসু, নিশীথ প্রামাণিক প্রমুখ। তবে কালীপুজোয় বিজেপি নেতাদের সর্বাত্মকভাবে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সামান্য বাধা তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে গান্ধীজির নামে সংকল্প যাত্রা শুরু করেছে বিজেপি। যা চলবে আগামী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত। কালীপুজো ২৭ অক্টোবর। স্বভাবতই দলীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত হওয়ায় কারণে ইচ্ছা থাকলেও পর্যাপ্ত সময় দিতে পারবেন না একাধিক বিজেপি নেতা।
এ প্রসঙ্গে দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর কথায়, দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজোতেও দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের যুক্ত হওয়ায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লোকসভা ভোটে বসিরহাট কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী নিজে ওই এলাকার একাধিক কালীপুজো উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর বাড়ি সল্টলেকের এসি ব্লকের কালীপুজো অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আরও বড় করে আয়োজন করবেন বলেও জানান সায়ন্তন। তাঁর কথায়, এলাকার বাসিন্দদের অনুরোধে এবার বড় পুজো করছি। প্রতিবারই আমাদের পুজোর উদ্বোধনে বিধায়ক সুজিত বসু আসেন। এবারও তাঁকে আমন্ত্রণ জানান হবে বলে দাবি এই বিজেপি নেতার। অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপির অন্যতম সম্পাদক তথা ক্লাব রিলেশন সেলের পর্যবেক্ষক তুষারকান্তি ঘোষের কথায়, দুর্গাপুজোর সঙ্গে কালীপুজোর অনেক ফারাক রয়েছে। দুর্গাপুজোয় বহু দিন আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়। চারদিনের বেশি সময় ধরে সেই উৎসব চলে। চলতি বছর রাজ্যজুড়ে বিজেপির এমপি, এমএলএ, মন্ত্রী, রাজ্য ও জেলা নেতা পাঁচশো দুর্গাপুজো উদ্বোধন করেছেন বলে দাবি তুষারবাবুর। এবারের কালীপুজোতেও সমানভাবে বিজেপি নেতাদের চাহিদা রয়েছে। যার মধ্যে দিলীপ ঘোষকে দিয়ে ফিতে কাটানোর আবেদন সবচেয়ে বেশি জমা পড়েছে। যদিও সংকল্প যাত্রার জেরে আসন্ন শ্যামাপুজোয় বিজেপি নেতাদের কতটা যুক্ত করা যাবে, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন তুষারকান্তি ঘোষ।