কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
গত এক সপ্তাহ ধরে জাতীয় ডাক সপ্তাহ বা ন্যাশনাল পোস্টাল উইক পালন করেছে ডাক বিভাগ। মঙ্গলবার ছিল তারই শেষ দিন। সেই উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পশ্চিমবঙ্গ সার্কেল। সেখানেই মুখ্য অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন শীর্ষেন্দুবাবু। ডাক বিভাগের স্মৃতিচারণে তিনি বলেন, শুধু চিঠি পাঠানো নয়, মানি অর্ডারের সেই রমরমাও আর নেই। আমিও এককালে মানি অর্ডার করতাম। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, এক সময় দেহাতি মানুষরা খামে টাকা ভরে, তার মুখ সেলাই করে টাকা পাঠাত। মানি অর্ডার করতে চাইত না, কারণ পোস্ট অফিসে টাকা থাকত না। কত মানুষের প্রেমপত্র বহন করেছে ডাক বিভাগ। এখন তো কেউ তেমন চিঠি লেখে না। রাত বিরেতে অশুভ খবর আসত ‘তার’ হয়ে। সেসব বুক কাঁপানো দিন বিদায় নিয়েছে। ডাক ও তার বিভাগ থেকে এভাবে ‘তার’ বিভাগটি আমার জীবনকালেই ইতিহাসে পরিণত হবে, ভাবিনি।
ডাক পরিষেবাও যে ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসছে, তা মনে করিয়ে দেন শীর্ষেন্দুবাবু। তিনি বলেন, বহু অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণপত্র এমন সময় আসে, আমি সেখানে যেতে পারি না। নিজের ছেলের বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র কলকাতা থেকে হাওড়ায় গিয়েছে একমাস পর। চিঠি যেতে বছর পেরিয়ে যায়, এমন উদাহরণও আছে। তাহলে উপায়? শীর্ষেন্দুবাবু বলেন, এখন মোবাইলেই ব্যাঙ্কিং সহ হরেক পরিষেবা পাওয়া যায়। আমরা প্রবীণরা অনেকেই তাতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। নতুন প্রজন্ম আরও বেশি করে তা ব্যবহার করে। পোস্ট অফিসকেও আরও উন্নত হতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। আর চাই ভালো ব্যবহার। গ্রাহকের সঙ্গে মিষ্টি কথার অভাব। সেটা বজায় না রাখলে গ্রাহক ধরে রাখা মুশকিল।