উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এদিন বীরভূমের শান্তিনিকেতন থানার কঙ্কালী পঞ্চায়েতের গোপালপুর গ্রামে ১০০ দিনের জব কার্ড চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিস। যদিও ঘটনায় কোনওপক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে বিজেপির অভিযোগ, শাসকদল বহিরাগতদের এনে মারধর করছে। অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, লোকসভা ভোটে ভালো ফল করার পর থেকেই বিজেপি অশান্তি করছে।
শনিবার রাতে শান্তিপুরে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্যাকে চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তাঁর বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। ফুলিয়া বেলতলা এলাকায় মৌমিতা দাস নামে ওই সদস্যার উপর হামলার ঘটনা ঘটে। সেই সময় তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন। দুষ্কৃতীরা দল বেঁধে তাঁর বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে বলেও অভিযোগ। মৌমিতাদেবী বলেন, শনিবার রাতে ঝড়বৃষ্টির পর বাড়িতে আমি একাই ছিলাম। প্রথমে ওই দুষ্কৃতীরা আমার জা রেবা সরকারের ওপর চড়াও হয়। পরে সশস্ত্র বাহিনী আমার উপরে চড়াও হয়। আমাকে চুলের মুঠি ধরে মারা হয়েছে। আমি যেহেতু তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী, তাই বিজেপি পরিকল্পিতভাবে আমার উপর হামলা করেছে। যদিও বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এদিকে কুপার্স ক্যাম্প পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জখম হয়েছেন স্থানীয় এক যুবক। ঘটনায় তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে।
পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের তোড়কোণায় তৃণমূল পার্টি অফিস দখল নিয়ে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। আম্বা গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন জখম হয়েছে। বর্ধমান ২ ব্লকের চাণ্ডুলে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা কৃষ্ণা বাগকে মারধর করে পার্টি অফিস বন্ধ করে দিয়েছে বিজেপি। গলসির ঘোষকামালপুরে বিজেপির আক্রমণে দেবব্রত মাজি নামে এক তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। বর্ধমান শহরে তিনকোনিয়ায় সনৎ গুপ্ত নামে এক তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। অন্যদিকে দুর্গাপুরে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি সমর্থকদের শায়েস্তা করতে কল ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় তৃণমূল অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। হুগলির গোঘাটের বেশ কয়েকটি জায়গায় রবিবার তূণমূল কর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ।
উত্তরবঙ্গেও জেলায় জেলায় তৃণমূল কর্মীদের মারধর, তাদের বাড়িঘর ও পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনা অব্যাহত। রবিবার সকাল থেকে ময়নাগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে তৃণমূল কর্মীদের বাড়িঘর ও পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ময়নাগুড়িতে ক্লাবঘর দখলেরও অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। কোচবিহারের শীতলকুচি ও নিশিগঞ্জে রবিবার সকাল থেকে উত্তেজনা ছিল। দিনহাটার নাজিরহাট, নিগমনগর ও সিতাইয়ে অন্তত ৫০ জন তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। বিজেপি’র দাবি, ভাঙচুরের ঘটনাগুলি ঘটেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে। এদিন আলিপুরদুয়ারের ভাটিবাড়ির দক্ষিণ কুমারীজান এলাকায় রঞ্জন দাস নামে এক তৃণমূল সমর্থক যুবককে ভোজালি দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। জখম যুবককে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিজেপি’র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা দাবি করেছেন, ওই ঘটনায় তাদের দলের কোনও কর্মী যুক্ত নয়।