সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
ভোটপর্বে আগাগোড়াই দৌড়ঝাঁপ করেছেন কল্যাণ। কখনও তাঁকে বিশেষ উদ্বিগ্ন দেখায়নি। ভোট শেষ হওয়ার পর হাসির স্পষ্ট আভাস তাঁর মুখ থেকে এক মুহূর্তও সরেনি। এমনটাই দাবি ঘনিষ্ঠ মহলের। কল্যাণ বলেন, কমপক্ষে দেড় লক্ষ ভোটে জিতব। বামেদের তাও ভোট ময়দানে একটু আধটু দেখা গিয়েছে। বিজেপির আমি টিকিও দেখিনি। শুধু ডোমজুড় থেকে আমি ৬০ হাজার লিড পাব। জগৎবল্লভপুর কমপক্ষে ৩৫ হাজার লিড দেবে। ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরে ঝকঝকে ছিল দীপ্সিতার মুখও। দীর্ঘ প্রচার পর্বের জেরে গলাটা একটু ভেঙেছে। কিন্তু আওয়াজ মজবুত। বামজোটের প্রার্থী বলেন, তৃণমূলের পুঁজি ছিল জবরদস্তির ভোট। এককথায় ছাপ্পা। এবার তা বামকর্মীরা রুখে দিয়েছেন। শ্রীরামপুরে বিজেপির কোনও ভোটব্যাঙ্ক নেই। অর্থাৎ তাদেরও পুঁজি লোপাট। সুতরাং দাবি যা খুশি করা যেতেই পারে। আমি শুধু বলব, জয়ের ব্যবধান নির্ণয়ের আগে জয় নিশ্চিত করা দরকার। সেটা তৃণমূল বা তাঁদের দোসর বিজেপির কপালে এবার নেই। বিজেপির শ্রীরামপুর জেলা সভাপতি মোহন আদক বলেন, অপ্রাসঙ্গিক বামেদের কাছ থেকে বিজেপির ভোটব্যাঙ্কের শংসাপত্র নেওয়ার প্রয়োজন নেই। শ্রীরামপুর আগেই বামমুক্ত হয়েছে। এবার তৃণমূলের অপশাসন ও অহংকারমুক্ত হবে। আমাদের কবীরশঙ্কর বসু বিপুল ভোটে জিতবেন।
২০১৯ সালের নির্বাচনে শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধিকাংশ বিধানসভাতেই লিড পেয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। কিন্তু কল্যাণকে দৃষ্টান্তমূলক জয় পেতে সাহায্য করেছিল ডোমজুড় ও জগৎবল্লভপুর বিধানসভা। এবার সেখানেই সিঁদ কাটার চেষ্টা করেছিল বামেরা। তাতে কতটা সফল তারা হয়েছে, সময় বলবে। তবে বামেদের প্রবল উৎসাহী উপস্থিতিতে বিজেপির ‘হঠাৎ পাওয়া’ ভোটের ঝুলিতে চিড় ধরার সম্ভাবনা প্রবল। রাজনৈতিক মহলের দাবি, কার্যত হারিয়ে যাওয়া বামেরা প্রচার পর্ব থেকে ভোট পর্যন্ত যে দাপট দেখিয়েছে, রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি তা দেখাতে পারেনি। ফলে, কল্যাণের রেকর্ড হোক না হোক, শ্রীরামপুরের ফলাফল চমক জাগাতে পারে।