সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
রণঘাট অবৈতনিক বিদ্যালয়ে নাতি বিপ্লব বাগের কোলে করে ভোট দিতে এসেছিলেন বাগপাড়ার আশি বছরের বাসিন্দা হারানি বাগ। বউমাকে সঙ্গে নিয়ে এদিন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে আসেন তিনি। ভোট দিয়ে নাতির কোলে করে বেরিয়ে হারানিদেবী বলেন, আগে প্রতিবার ভোট দিয়েছি। এবারও এসেছি। শরীর খারাপ বলে নাতি নিয়ে এসেছে।
বিধানসভা ভোটের সময়ে রণঘাট এলাকার এই কেন্দ্রটিই কিন্তু রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল। চলেছিল গুলি। পুলিস বাধ্য হয়ে তিন রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। ওই ঘটনায় বাগদা থানার ওসি সহ তিন পুলিসকর্মী আহত হন। যদিও এদিন গণ্ডগোলের রেশ মাত্র নেই এখানে। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের গা ছুঁয়ে বয়ে গিয়েছে নদী। নদী পার হলেই বাংলাদেশ। মাঝখানে কাঁটাতার নেই। বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হাতে যে কোনও সময়ে আক্রান্ত হতে পারেন বাসিন্দারা। তবুও কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রহরায় নিশ্চিন্তে ভোট দিলেন তাঁরা।
এদিন সকাল থেকেই উৎসবের মেজাজে ভোটগ্রহণ শুরু হয় বনগাঁয়। সকাল সাতটার আগেই বুথে বুথে ভোটারদের লম্বা লাইন চোখে পড়েছে। সীমান্তবর্তী বাগদা বিধানসভার চিত্রটা ছিল অন্যান্য ভোটের থেকে একটু আলাদা। গত পঞ্চায়েত এবং বিধানসভা নির্বাচনে বাগদা কেন্দ্র উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। তবে এদিন সেই উত্তাপের বিন্দুমাত্র চোখে পড়েনি। শুধু বাগদা নয়, সন্দেশখালিতেও দু’-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া কোথাও সেভাবে অশান্তি হয়নি। সীমান্তে শান্তিতে ভোট করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। আমাদের জয় নিশ্চিত। যদিও বিজেপির দাবি, ভোটের নামে হিংসা চালিয়েছে তৃণমূল। বনগাঁর বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল বলেন, ভোটে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের কর্মীদের উপর আক্রমণ করেছে। বাগদায় আমাদের চারজন আহত। হাসপাতালে তাঁদেরকে দেখতে গেলে আমার উপরও চড়াও হয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। হারার ভয়ে তাণ্ডব করেছে ওরা।