সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
ধূলাগড়, দক্ষিণ সাঁকরাইল কিংবা মহিষগোট উদাহরণ মাত্র। সাঁকরাইল ও পাঁচলার বিভিন্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেও ‘তাঁদের দেখা নাই’। দু’-একটি বুথে থাকলেও তাঁদের আতসকাচ দিয়ে খুঁজতে হয়েছে। ভোটারকে চ্যালেঞ্জ করা তো দূরঅস্ত, উল্টে গুটিশুঁটি মেরেই বসেছিলেন তাঁরা। ‘আপনা বুথ মজবুত’— স্লোগান দিয়ে ভোটের আগে বুথ ভিত্তিক একধিক কর্মসূচি করেছে বিজেপি। সেখানে হাজির থেকেছেন দলের তাবড় নেতারা। প্রচুর টাকা খরচ করলেও ম্যাচের দিন মাঠে প্লেয়ারই নামাতে পারল না গেরুয়া পার্টি। বিজেপি’র সংগঠন যে এই বাংলায় তৈরি হয়নি, তা হাওড়া সদরের ভোট প্রতি পদে বুঝিয়ে দিল। আর যাদের খরচের খাতায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল, সেই সিপিএম সাঁকরাইল ও পাঁচলার প্রতিটি বুথে জোর টক্কর দিল তৃণমূলের সঙ্গে। ভুয়ো ভোটার আটকানোর পাশাপাশি বুথের মধ্যে বিপক্ষের এজেন্টের দাপটও সামলেছেন লালপার্টির এজেন্টরা। যে কারণে দক্ষিণ সাঁকরাইল, ধূলাগড়ের কলোরা বা অঙ্কুরহাটির মতো জায়গায় ‘দাপিয়ে’ ভোট করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে শাসকদলকে।
সিপিএমের দাবি, সাঁকরাইল ও পাঁচলার সর্বত্র এজেন্ট বসানো সহজ কাজ ছিল না। রবিবার রাতে অনেককেই হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমনকী, বুথে যাওয়ার পরও ভয় দেখানো হয়েছে। কোথাও মারধরও করা হয়েছে। তারপরও বুথ ছাড়েননি কর্মীরা। একারণে বহু জায়গায় বুথ দখল আটকে দেওয়া গিয়েছে। ঘটনাচক্রে সাঁকরাইল ও পাঁচলার সিংহভাগ এলাকা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। সেখানে সংখ্যালঘু মহিলা ভোটারদের লম্বা লাইন দেখে সিপিএম ও তৃণমূল দু’পক্ষই আশায় বুক বাঁধছে। শাসকদল বলছে, এর কারণ মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আর সংখ্যালঘু মহিলাদের জন্য একগুচ্ছ প্রকল্প। এইসব কর্মকাণ্ডই তাঁদের ভোটের লাইনে টেনে এনেছে। সিপিএম বলছে, সংখ্যালঘু মহিলাদের ভোট তাঁদের পক্ষে গিয়েছে। যাঁরা এতদিন ভোট দিতে পারেননি, তাঁরা এগিয়ে এসেছেন। তবে বিভিন্ন বুথে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সিপিএমের। তাদের দাবি, জওয়ানরা বিভিন্ন বুথের সামনে অপেক্ষমাণ ভোটাদের বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন।