নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট সোমবার, ২০ মে। মোট বুথের সংখ্যা ১৫৯১। ভোটার সংখ্যা ১৬ লক্ষেরও বেশি। এর মধ্যে বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে আরও বেশি করে বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। ইতিমধ্যে জগদ্দলে ৮২টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা নিয়ে সমীক্ষা চলছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুথ প্রতি চারজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবেন। ১৮ তারিখ সন্ধ্যা ছ’টায় প্রচার শেষ হওয়ার পর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বিশেষ বিশেষ এলাকায় টহলদারি করবেন। অতি স্পর্শকাতর এলাকাগুলি মূলত ভাটপাড়া, জগদ্দল, টিটাগড় এবং হাজিনগরে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্পর্শকাতর এলাকায় সর্বদা পুলিসের নজরদারি থাকবে। থাকবে ভিডিও ক্যামেরা।
ভোটের এখনও কয়েকদিন বাকি। এর মধ্যে বোমাবাজি বা বড় সংঘর্ষের কোনও ঘটনা ঘটেনি। পুলিসকর্তারা এটাকে তাঁদের সাফল্য বলেই মনে করছেন। গতবারের তুলনায় এখনও শান্ত রয়েছে বারাকপুর। ভোটপর্ব যাতে নির্বিঘ্নে মিটে যায়, সে জন্য কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম, রাস্তায় রাস্তায় পুলিসের নাকা চেকিং। এছাড়াও পুলিস পরিত্যক্ত জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে, সন্দেহভাজন অনেককে আটকও করা হয়েছে। ১০৭ নম্বর ধারায় গোলমাল পাকাতে পারে এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এখন দেখার, ৬৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও পঞ্চম দফার ভোটের দিন, অর্থাৎ আগামী সোমবার বারাকপুর শান্ত থাকে কি না। অতীতের অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে পুলিস প্রশাসন অনেক সতর্ক। ভোটের দিন প্রস্তুত রাখা হবে কুইক রেসপন্স টিমকে। কোথাও কোনও গোলমাল হলে দ্রুত ওই টিম ঘটনাস্থানে পৌঁছে যাবে। আজ বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার পর বহু স্কুল সহ বিভিন্ন জায়গায় তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে বারাকপুর পুলিস কমিশনারেট।