নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
বারাসতের বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে বিতর্ক অবশ্য নতুন কিছু নয়। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক ফৌজদারী মামলা। হলফনামায় সেই তথ্যও জমা দিয়েছেন স্বপনবাবু। উল্লেখযোগ্য হল, এবার লোকসভায় প্রার্থী হতে একবার নয়, দু’বার হলফনামা জমা দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। সেখানে লেখা রয়েছে, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন ‘রবীন্দ্র ভারতীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে। এরকম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুনেই আকাশ থেকে পড়ছেন তাবড় শিক্ষা বিশারদরা। কারণ, এরকম কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা তাঁদের জানা নেই। জোড়াফুল শিবির বলছে, নির্বাচনী হলফনামায় সবসময় সঠিক তথ্য জমা দিতে হয়। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে যা দাবি করেছেন, তা হাস্যকর ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও যে উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়া যায়, তা বিজেপির সৌজন্যেই সবাই জানল বলে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তারা। এ বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, ‘উনি হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে যে তথ্য দিয়েছেন, তার খোঁজ মেলেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে তো উচ্চ মাধ্যমিক সাধারণত পড়ানো হয় না। উনি এক্ষেত্রে ভুয়ো তথ্য দিয়েছেন। এর পাল্টা হলফনামা আমরা জমা দেব।’ যদিও তৃণমূলের এই দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ স্বপন মজুমদার। তিনি বলেন, ‘নিয়ম মেনে আমি মনোয়নয়ন জমা দিয়েছি। আর ক’টা দিন সময় আছে, তারপরেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। হয়তো লেখার ভুলের কারণে এই সমস্যা। তা দ্রুত সংশোধন করে নেওয়া হবে। আমি ২১ সালে যখন বিধানসভা ভোটে লড়াই করেছিলাম, তখন দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু শংসাপত্র না আসায় সেটা লিখতে পারিনি। তৃণমূল যা বলছে, সেই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।’