পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গা ও বারাসত‑১ ব্লকের সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় নূরনগর গ্রাম পঞ্চায়েত। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর মৌজা বিদ্যাধরী নদী লাগোয়া। মাটি মাফিয়ারা সেখানে অবাধে মাটি কাটছে। রায়ত জমির পাশাপাশি বিদ্যাধরী নদীর চর ও পাড় কেটে মাটি পাচার করা হচ্ছে। মাটি কেটে পাচার করার জন্য একাধিক জেসিবি, ২০‑২২টি ডাম্পার, ছোট লরি জড়ো করা হয়েছে। মূলত দত্তপুকুর থানার বিভিন্ন ইটভাটা ও নিচু জমি ভরাটের জন্য মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মোক্তারপুর ব্রিজ থেকে জাফরপুর রাস্তায় প্রতিনিয়ত মাটি ভর্তি গাড়ি যাতায়াতের ফলে রাস্তার উপর মাটির আস্তরণ জমেছে। সামান্য বর্ষায় দেড় কিমি রাস্তা কার্যত নরককুণ্ড হয়ে যাচ্ছে। গোবিন্দপুর ছাড়াও বারাসত‑১ ব্লকের কোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলদি মাঠে মাটির চোরা কারবার শুরু হয়েছে। এখানেও ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় ১৫টি ডাম্পার ও ট্রাকে মাটি পাচার করা হচ্ছে। এর ফলে জাফরপুর থেকে দত্তপুকুরের রাস্তাও কার্যত বেহাল। শনিবার ভোররাতের বৃষ্টির ফলে দত্তপুকুর থানার কোটরা গ্রাম পঞ্চায়েত সহ আশপাশের এলাকার রাস্তা কাদায় মাখামাখি হয়ে গিয়েছে। রাস্তার হাল যে কোনও মেঠো আলপথকেও লজ্জা দেবে। এদিন বেলার দিকে জাফরপুর থেকে পানশিলার মাঝে কয়েকটি জায়গায় মাটির কারবারিরা জনরোষের ভয়ে পাম্প চালিয়ে রাস্তার কাদা ধুয়ে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা কাসেম আলি, জাফর মোল্লারা বলেন, নভেম্বর মাস থেকে মাটি কারবারিদের রমরমা শুরু হয়েছে। রাতদিন মাটির গাড়ি চলছে রাস্তা দিয়ে। এর ফলে রাস্তার উপর মাটির আস্তরণ পড়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তায় উপর পিচ্ছিল কাদার স্তর জমেছে। অনেক পথচারী রাস্তায় পড়ে জখম হয়েছেন। পুলিস ও প্রশাসনের মদত না থাকলে এই চোরা কারবার কখনও চলতে পারে না। আমরা স্থানীয়স্তরে বারবার সমস্যার কথা জানালেও কোনও লাভ হয়নি। কোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কামরুন নাহার বলেন, মাটি পাচারের খবর আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বারাসত‑১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ইছাহক সর্দার বলেন, গোবিন্দপুর ও ফলদি মাঠে মাটি কেটে পাচারের কারবার নতুন করে শুরু হয়েছে বলে শুনেছি। আমরা চাই এই অবৈধ কারবার দ্রুত বন্ধ হোক। এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য রনজিৎকুমার বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি প্রশাসন ও দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এই ধরণের অবৈধ কারবার দ্রুত বন্ধ হওয়া দরকার। বারাসত‑১ ব্লকের জয়েন্ট বিডিও তপনকুমার নস্কর বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।