শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
লোকসভা ভোট পরবর্তীকালে জনসংযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি চালু করেছেন পিকে। দলের ফলাফল বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যেসব ত্রুটি-দুর্বলতা চিহ্নিত করেছে পিকে’র সংস্থা আইপাক, তার ভিত্তিতেই সাংগঠনিক স্তরে একাধিক পদক্ষেপ করেত চলেছে তৃণমূল। পিকে’র নির্দেশ ছিল, প্রতি বুথে অন্তত দশজন করে তফসিলি সম্প্রদায়ভুক্ত কর্মীর নামের তালিকা আইপাকের দপ্তরে জমা দিতে হবে। সেই মতো অধিকাংশ নেতা তা জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু আইপাক নিজস্ব কায়দায় খোঁজ নিয়ে দেখেছে, অনেকেই এই তালিকা তৈরিতে গুরুত্ব দেননি। সংশ্লিষ্ট এলাকার নেতা তালিকা তৈরির সময় তাঁর বাড়ির কাজের লোকের নামও ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এই ধরনের দায়সারা কাজের জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক। এদিন রাজ্যের এক মন্ত্রীকেও দলবাজি করার অভিযোগে সতর্ক করা হয়েছে। ওই মন্ত্রী নিজের গোষ্ঠীকে নিয়ে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি পালন করেছেন। তাঁকে সবাইকে নিয়ে চলতে বলা হয়েছে। অভিষেক বলেন, ধরে নিন আর একশো দিন বাদে নির্বাচন। তাহলে যেভাবে কর্মতৎপর হতে হয়, সেভাবে কাজে নেমে পড়ুন। জেলার কিছু এলাকায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি যথাযথভাবে পালিত হয়নি। তাই চলতি মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে আরও বেশি করে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির আয়োজন সেরে ফেলতে হবে বলে এদিনের বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
নেতাদের চালচলন নিয়েও এদিন পিকে কড়া কথা শুনিয়েছেন বৈঠকে। তিনি বলেছেন, আপনারা নিজের সম্পদ, বৈভব প্রদর্শন করছেন কেন? আপনাদের কর্মীদের বাড়িতে রাত কাটাতে বলা হয়েছে। অনেকে নাকি সেখানে ফোন করে আগে খোঁজ নিয়ে নিচ্ছেন, সেই বাড়ির অবস্থা কীরকম। এসব বাছবিচার চলবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন পিকে।