নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
এদিন মেয়র পৌঁছতেই এলাকার একদল মানুষ তাঁর কাছে চলে আসেন। তাঁরা দাবি করতে থাকেন, ওই অংশটিতে উদ্যান করে দিতে হবে। তাঁরা বলেন, ওই অংশটি যেভাবে জঙ্গল-আগাছায় ভরে গিয়েছিল, তাতে ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত হচ্ছিল। সেই কারণেই মাটি দিয়ে ভরাট করে দেওয়া হয়েছে। যদিও মেয়র জানিয়ে দেন, হাইকোর্টের রায়ে যদি অংশটি খননের পক্ষে যায়, তাহলে সেখানে জলাশয়ই হবে। জলাশয় বুজিয়ে অন্য কিছু করা হবে না। পুরকর্তাদের কথায়, যদি জঙ্গল-আগাছায় ভরেই ছিল, তাহলে তা কেটে পরিষ্কার করে দেওয়া যেত। কিন্তু তার বদলে মাটি চাপা দেওয়া হল কেন?
এদিন ওই লোকজন মেয়রকে আরও বলেন, ওই অংশটিতে খননকার্যে কলকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ রয়েছে। মেয়রকে সেই কপিও তাঁরা দেন। তবে পুকুর বোজানোর বিরুদ্ধে যাঁরা সরব, তাঁদের মতে, ওই অংশটি পুরসভাই দখল করে জলাশয় হিসেবে গড়ে তুলুক। উদ্যান নয়। জলাশয় হলে স্থানীয় মানুষেরই উপকার হবে। মেয়র বলেন, স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সুবিধার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপর বিকেলে ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে মেয়র জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের ডিজি শুভাশিস চট্টোপাধ্যায়কে বিশেষভাবে নির্দেশ দেন, ওই অংশটিতে যাবতীয় গাছ-আগাছা যেন কেটে ফেলা হয়। জঞ্জাল যেন কোনওভাবে ফেলা না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। মশার বাড়বাড়ন্ত রুখতে সবরকম ব্যবস্থা নিতে হবে। এদিন ওই এলাকায় দাঁড়িয়ে মেয়রের সঙ্গে গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়, স্থানীয় তৃণমূল নেতা অঞ্জন দাশ সহ শাসকদলের বেশ কিছু নেতা-নেত্রী। মেয়র সন্ধ্যায় বলেন, ওই অংশটি বোজানো হচ্ছিল বলে খবর আসে। পে লোডার পাঠানো হলেও বাধা দেওয়া হয়। তাই আমি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাই।
১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ওই ১০ কাঠার জলাশয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে সেখানে জলাশয় থাকলেও পরবর্তীকালে নির্মাণ সামগ্রী, জঞ্জাল-আবর্জনা ফেলে তা পরিকল্পনামাফিক বোজানো শুরু হয়। পরবর্তীকালে এই অংশটির মালিকানা নিয়ে মামলাও হয়। যা আদালতে বিচারাধীন। কিন্তু এসবের মধ্যেই জলাশয়টি ধীরে ধীরে বোজানোর কাজ শুরু হয়। এই কাজে এলাকার প্রোমোটারদের একাংশ জড়িত বলে অভিযোগ ওঠে। জলাশয় বোজানোর প্রতিবাদ করেন এলাকার কিছু মানুষ। ইতিমধ্যেই এলাকায় ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত হয়। ফলে গাছ-আগাছা ভরা অংশটি মাটি চাপা দিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই পুরসভা সক্রিয় হয়ে জেসিবি মেশিন পাঠিয়ে দেয় মাটি কাটতে। যদিও প্রোমোটার এবং এলাকার কিছু লোক পুরকর্মীদের কাজে বাধা দেয় এবং তাঁদের ফেরত পাঠিয়ে দেয়। যা নিয়ে মেয়রও ক্ষুব্ধ হন। এদিন মেয়র বলেন, আমি এ বিষয়ে আমার পুরসভার আইনজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলব এবং দ্রুত পদক্ষেপ করব।