কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ আচমকাই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা পাড়া। জোড়ামন্দির থেকে চিনারপার্ক যাওয়ার পথে জ্যাংড়া মোড় থেকে রঘুনাথপুরের দিকে ঢুকে যুবক সঙ্ঘ ক্লাবের উল্টোদিকেই চারতলার ফ্ল্যাট বাড়ি। তারই একতলায় গ্যারাজের পাশে ছোট ঘর। সেখানেই গত কয়েকবছর ধরে ভাড়া থাকেন ওড়িশার বাসিন্দা প্রকাশ রাউত, রতন রাউত। দু’জনে সম্পর্কে কাকা-ভাইপো। স্থানীয় একটি হার্ডওয়্যারের দোকানে তাঁরা কাজ করেন। এদিন সকালে আচমকাই ওই বাড়িতে বিকট শব্দ পেয়ে সকলে ছুটে আসেন। তখন অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দুই ভাইকে ঘরের দরজার সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অগ্নিদগ্ধ অবস্থাতেই তাঁরা নিজেরা ছুটতে ছুটতে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে, দরজার সামনে পড়ে গিয়ে ছটফট করতে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীরা জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করে দেন। দমকলকে খবর দেওয়া হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, তিনি ঘুমাচ্ছিলেন। আচমকাই বিকট শব্দ পেয়ে প্রথমে মনে হয়েছিল যেন ভূমিকম্প হচ্ছে। পরমুহূর্তে ভুল ভেঙে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে এই দৃশ্য দেখতে পান।
ওই ঘরের মালিক ডি বি চন্দ্র বলেন, এই ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিন সকালে ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই দমকলের দুটি ইঞ্জিন এসে আগুন আয়ত্তে আনে। প্রাথমিক তদন্তের পর দমকলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বুধবার রাতে রান্নার পর যে কোনও কারণেই হোক গ্যাস বন্ধ করতে ভুলে গিয়েছিলেন ওই দুই ব্যক্তি। তাতেই মনে করা হচ্ছে গ্যাস লিক হয়ে গোটা ঘরে ভরে গিয়েছিল। সকালে কোনও কারণে বিড়ি জ্বালতে গিয়ে আগুন ধরে বিস্ফোরণ হয় বলে অনুমান। তবে সিলিন্ডার ফাটেনি। তাই বড় ধরনের বিপত্তি এড়ানো গিয়েছে। দমকল এসে সিলিন্ডারের মুখ সিল করে, সেটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। পুলিস জানিয়েছে, ঘটনায় রতন রাউতের শরীরের প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ পুড়ে যায়। অন্যদিকে প্রকাশ রাউত অন্য ঘরে শুয়ে থাকায় কিছুটা কম দ্বগ্ধ হন। তবে রতনের অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে পুলিসকে জানানো হয়েছে। তবে পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগুনের কারণ হিসেবে দমকলের পক্ষ থেকে শর্ট সার্কিটকে দায়ী করা হয়েছে।