কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
আদালত ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ উত্তর কলকাতার সিঁথির মোড়ে অটো স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বাসিন্দা এক বৃদ্ধা। তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। তিনি হঠাৎই দেখেন, তাঁর পায়ের কাছে একটি নোটের বান্ডিল পড়ে রয়েছে। এক যুবক এসে তাঁকে প্রশ্ন করেন, নোটের বান্ডিলটি কি তাঁর? ওই বৃদ্ধা বলেন না। এরপর আর এক যুবক এসে ওই মহিলাকে সেখান থেকে ডেকে বিটি রোডের দিকে নিয়ে আসে। বৃদ্ধা কিছুটা এগতেই ওই যুবক বলে, এই বান্ডিলে ন’ লক্ষ টাকা আছে। তা থেকে কিছু টাকা নিয়ে তিনি যদি তাঁর সোনার গয়নাগুলি দেন, তাহলে ভালো হয়। তিনি যেন এই টাকা দিয়ে পরে গয়না কিনে নেন। অভিযোগ, ওই বৃদ্ধা সরল বিশ্বাসে দুই যুবকের কথা মতো তাঁর সোনার গয়না তাদের হাতে তুলে দেন। বিনিময়ে ওই যুবক একটি ব্যাগ তাঁর হাতে দিয়ে টাকা গুনে নিতে বলে। এরপর তারা সেখান থেকে চম্পট দেয়। বৃদ্ধা ব্যাগ খুলে দেখেন, সেখানে দলা পাকানো কিছু কাগজ আছে। প্রতারিত হয়েছেন বুঝে তিনি থানায় এনিয়ে অভিযোগ করেন। ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিস। তারা তদন্তে নেমে কল্যাণী এবং নিউ বারাকপুরের বাসিন্দা দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া সোনার কিছু অংশ। বাকি গয়না উদ্ধারের জন্য পুলিস তল্লাশি চালাচ্ছে বলে এদিন সরকারি আইনজীবী জানান। পুলিস জানায়, ওই বৃদ্ধার পায়ের কাছে যে নোটের বান্ডিলটি ফেলে দেওয়া হয়েছিল, সেই টাকাগুলিও ছিল ভুয়ো।