কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
এই উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে এক মহান ধর্মযজ্ঞে শামিল হতে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী যে পবিত্র তীর্থে আসেন, সেই পবিত্র তীর্থ হল চাকলা-কচুয়া ধাম। আর যাঁর পবিত্র চরণ স্পর্শ করার জন্য এখানে আসা তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং ত্রিকালজ্ঞ বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী।
১১৩৭ সনে এই চাকলা ধামেই আবির্ভূত হন বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী। যদিও তাঁর জন্মস্থান নিয়ে মতভেদ আছে। কেউ কেউ বলেন চাকলা থেকে প্রায় ১৫ কিমি দূরে বেড়াচাঁপা ছেড়ে বসিরহাটগামী রাস্তায় কচুয়া নামক গ্রামে মামার বাড়িতে জন্ম হয়েছিল এই মহাযোগীর। এখান থেকেই গুরু ভগবান গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেশান্তরী হন তিনি। ভক্তদের কাছে তাই চাকলাধাম আর কচুয়াধাম— দুই-ই পবিত্র তীর্থ।
দোলপূর্ণিমা বাদে বছরের সব সময়ই খোলা থাকে চাকলা ও কচুয়ার মন্দির। ভোগ বিতরণও হয় প্রত্যহ। অক্ষয় তৃতীয়া, বাবার তিরোধান দিবস ১৯ জ্যৈষ্ঠ, গুরুপূর্ণিমার দিন আর বাবার আবির্ভাব তিথিতে সারাদিন মন্দিরে পূজাপাঠ হয়। অগণিত ভক্তের সমাগম হয় সেই সময়।
প্রয়োজনীয় তথ্য: শিয়ালদহ-বনগাঁ রেলপথে গুমা স্টেশনে নেমে সেখান থেকে অটো, ভ্যান রিকশ বা ম্যাজিক গাড়িতে যেতে হবে চাকলা।
আর বসিরহাটগামী বাসে স্বরূপনগর স্টপেজ বা রেলপথে বেড়াচাঁপা নেমে সেখান থেকে ভ্যান রিকশয় যাওয়া যায় কচুয়া।
এখানে থাকার জন্য তেমন ভালো হোটেলের অভাব রয়েছে। তাই অধিকাংশ ভক্তই বেলাবেলি মন্দির দর্শন করে ফিরে যান।