নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
উদ্যানপালন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অসময়ের তরমুজে শোষক পোকা, ফলছিদ্রকারী পোকা, ধসা বা পচন দেখা দিতে পারে। প্রতিরোধে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ দেখা দিলে জমিতে ফেরোমোন ফাঁদ বসানো যেতে পারে। না হলে ঝোলা গুড় কিংবা রসগোল্লার গাদের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে বিষটোপ তৈরি করা যেতে পারে। তরমুজের আকার ও গুণমান বাড়াতে অনুখাদ্য প্রয়োগ করতে পারেন কৃষক।
তরমুজ মূলত বালি-পলি মাটিতে চাষ হয়। কিন্তু, পলি মালঞ্চিং পদ্ধতিতে এখন এঁটেল মাটিতেও তরমুজ ফলানো সম্ভব হচ্ছে। বিঘায় অনায়াসেই চার টন ফলন পাওয়া যায়। প্রতি টন তরমুজ বিক্রি করে দাম পাওয়া যায় ২০ হাজার টাকা। ৫০ শতাংশ জৈব ও ৫০ শতাংশ রাসায়নিক সার দিয়ে জমি তৈরি করে নিতে হবে। বীজ লাগানোর ৬৫-৭০ দিনের মাথায় ফল দিতে শুরু করবে। জমিতে বেড তৈরি করে বীজ বুনতে হবে। মাঝে সেচের জল দেওয়ার জন্য নালা কেটে দিতে হবে। মালঞ্চিংয়ের পলিথিন দিয়ে বেড ঢেকে দেওয়ার পর নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর বীজ বুনতে হবে। প্রতিটি মাদায় দু’টি করে বীজ বোনা যেতে পারে। যেখানে বীজ বোনা হবে, সেখানে পলিথিন ছিদ্র করে দিতে হবে। এক-একটি গাছ থেকে একাধিক শাখা বের হয়। সেখান থেকে তিনটি ভালো শাখা রেখে বাকিগুলি ভেঙে দিতে হবে। তাতে গাছ পুষ্ট হবে। তরমুজের সাইজ বড় হবে। আড়াই থেকে তিন কেজি করে ওজন হবে এক-একটি তরমুজের।
মালঞ্চিংয়ের পলিথিনের উপরের দিকটা স্টিল রঙের, নীচের দিক কালো রঙের হয়। স্টিল রং শোষক পোকাকে বিকর্ষণ করে। ফলে পলি-মালঞ্চিংয়ের মাধ্যমে চাষ করলে জমিতে শোষক পোকার আক্রমণ কম হয়। তাছাড়া সেচের জল, সার কম লাগে। স্বাভাবিকভাবে চাষের খরচ অনেকটাই কমে যায়। ফলনও বাড়ে। চারা যখন ছোট থাকে, তখন ছোট ছোট লাল পোকার আক্রমণ হয়।
ওই পোকা দমনে এক লিটার জলে দুই মিলিলিটার ডাইমিথোয়েট মিশিয়ে প্রয়োগ করা যেতে পারে। তরমুজের জমিতে জল দাঁড়িয়ে গেলে গাছ মরে যাবে। আবার জমিতে জলও থাকতে হবে। সেকারণে জমিতে যাতে জলনিকাশি ব্যবস্থা ঠিক থাকে, সেদিকে নজর রাখতে হবে বলে জানাচ্ছেন উদ্যানপালন বিশেষজ্ঞরা।