সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
আইপিএল থেকে ছিটকে যাওয়ার পরের দিনই এমএসডি’কে দেখা গিয়েছে রাঁচি বিমানবন্দরে। পিঠে ব্যাগ ঝুলিয়ে নিজের শহরে ফেরার সময় বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল তাঁকে। সেজন্যই তাঁর অবসর নিয়ে আলোচনা জোরদার। প্রাক্তন ক্রিকেটার অম্বাতি রায়াডু অবশ্য উল্টো মত পোষণ করছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি এখনও আশাবাদী। কারণ, হেরে এভাবে বিদায় নিতে চাইবে না ও।’ ধোনি অবশ্য চলতি আসরে দেখিয়েছেন যে, এখনও তফাত গড়ে দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে। ১১ ইনিংসে ৫৩.৬৬ গড়ে করেছেন ১৬১ রান। স্ট্রাইক রেট ২২০.৫৪।
শেষ চারে জায়গা করে নেওয়ার জন্য অন্তিম ওভারে ১৭ রান দরকার ছিল সিএসকে’র। শনিবার আরসিবি’র বিরুদ্ধে হারলেও নেট রান রেটে এগিয়ে থাকত চেন্নাই। যশ দয়ালের প্রথম বলে ছয় হাঁকিয়ে আশাও জাগিয়েছিলেন ধোনি। কিন্তু পরের বলেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাহি। তখনই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় সিএসকে। জয়ের পর উৎসবে মেতে ওঠেন বেঙ্গালুরুর ক্রিকেটাররা। কোহলিদের সঙ্গে হাত না মিলিয়েই ড্রেসিং-রুমে হাঁটা দেন ধোনি। সেই সময় বেঙ্গালুরুর কয়েকজন সাপোর্ট স্টাফ মাহির সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। অনেকেই মনে করছেন, ধোনি রেগে গিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। এই নিয়ে আরসিবি’র প্লেয়ারদের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন মাইকেল ভন। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়কের কথায়, ‘ধোনি সম্ভবত শেষ ম্যাচ খেলে ফেলল। ম্যাচের পর তাঁকে সম্মান জানানো উচিত ছিল আরসিবি’র পক্ষ থেকে। প্লে-অফে ওঠার সেলিব্রেশন পরেও করতে পারত ওরা।’ জানা গিয়েছে, কোহলি নাকি পরে চেন্নাইয়ের ড্রেসিং-রুমে গিয়েছিলেন। সেখানে ধোনির সঙ্গে হাতও মেলান তিনি।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের সুবিধা নিয়ে ধোনি আরও কয়েক বছর খেলতে পারেন বলে মত রায়াডুর। তাঁর কথায়, ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম থাকায় ইনিংসের শেষদিকে নামার সুযোগ থাকছে। এটা ধোনির কাজে লাগানো উচিত। তাতে ওয়ার্কলোড অনেক কমবে। বিসিসিআই হয়তো এজন্যই নিয়মটা রেখে দিতে পারে। ধোনিকে আমরা খেলতে দেখব কি না, তার উত্তর এখন বোর্ডের কোর্টে।’