উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
পাঞ্জাবের কোচ অনিল কুম্বলে। আইপিএলে বিদেশি কোচেদের ভিড়ে একমাত্র ভারতীয় কোচ তিনি। তবে বড় চিন্তা বোলিং। তাঁর দলের বোলিং তূণে তেমন বিষাক্ত তির নেই। তাঁর বড় ভরসা মহম্মদ সামি। তিনি আবার পেসার। সামির লক্ষ্য, আইপিএলে ভালো পারফরম্যান্স করে অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রস্তুতি সেরে নেওয়া। অশ্বিন পাঞ্জাব ছেড়ে দিল্লিতে চলে যাওয়ায় দলের স্পিন বিভাগও দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে ধারে ও ভারে এগিয়ে থেকেই খেলতে নামবে দিল্লি ক্যাপিটালস। রবিবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নজরে থাকবে দুই দলের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ও শ্রেয়াস আয়ারের ক্রিকেট বুদ্ধির লড়াইও। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দু’জনের মধ্যেই ভবিষ্যতের ভারতীয় অধিনায়ক হওয়ার গুণাবলী রয়েছে।
দিল্লির ব্যাটিং কম্বিনেশন খুব ভালো। পৃথ্বী সাউ, শ্রেয়াস আয়ার, ঋষভ পন্থ, শিখর ধাওয়ান ছাড়াও রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিমরন হেটমেয়ার। নেটে বিধ্বংসী ব্যাটিং করে চলেছেন ঋষভ। যা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ভাইরাল হয়েছে। এছাড়াও কোচ রিকি পন্টিংয়ের দলের ব্যাটিং শক্তি বাড়িয়েছে ভারতের টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানের আগমন। তাঁকে রাজস্থান রয়্যালস থেকে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। পেস বিভাগের নেতৃত্ব দেবেন ঈশান্ত শর্মা। সঙ্গে রয়েছেন কাগিসো রাবাডা। এছাড়া বিগ ব্যাশ লিগে সর্বাধিক উইকেট সংগ্রাহক ড্যানিয়েল সামসকে দলে নিয়ে চমক দিতে তৈরি দিল্লি ক্যাপিটালস।
কিংস ইলেভেনের বড় শক্তি ক্রিস গেইল, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও লোকেশ রাহুলের মতো ক্লিন হিটারের উপস্থিতি। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাক্সওয়েলের ১০৮ রানের সুবাদে একদিনের সিরিজ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছেন এই অজি ক্রিকেটারটি। ২০১৪ আইপিএল যখন আমিরশাহিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেই সময়ও দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। ১৬টি ম্যাচে করেছিলেন ৫৫২ রান। পাশাপাশি ওপেনিং জুটিতে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারেন গেইল ও রাহুল। তারপর রয়েছেন নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মায়াঙ্ক আগরওয়াল।
পরিসংখ্যান অবশ্য কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের পক্ষেই রয়েছে। শেষ পাঁচবারের সাক্ষাতে দিল্লির বিরুদ্ধে চারবার জিতেছে পাঞ্জাব। রবিবার কারা শেষ হাসি হাসে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।