গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
এমনিতেই জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা রয়েছে। মন্দির তৈরির কাজ কবে শেষ হবে, এবছর রথযাত্রার পূণ্যলগ্নে উদ্বোধন হবে কিনা, তা প্রশাসনিক আধিকারিকরা স্পষ্ট করে বলেননি। জেলাশাসক বলেন, মন্দির নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। তবে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। যদিও মন্দির প্রাঙ্গণে রথ তৈরি জোরকদমে চলছে। তিনটি লোহার রথের বড় কাঠামো সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।
লোকসভা ভোটের প্রচারে মহিষাদলে এসে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দীঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরির কাজ শেষের পথে। বিগ্রহ চলে এসেছে। ভোটপর্ব মিটে গেলেই মন্দির উদ্বোধন হবে। সবাই এখন চাইছেন, ৭ জুলাই রথযাত্রার দিনই মন্দিরের উদ্বোধন হোক।
দীঘা রেলস্টেশনের কাছেই ভগীব্রহ্মপুর মৌজায় ২৫ একর জমির উপর জগন্নাথধাম গড়ে উঠছে। ২০১৮ সালে এই মন্দির তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এজন্য ২০০কোটিরও বেশি টাকা খরচ করছে রাজ্য সরকার। ২০২২ সালে অক্ষয় তৃতীয়ায় কাজ শুরু হয়েছিল। পুরীর মন্দিরের অনুকরণে প্রায় সমান উচ্চতায় মন্দিরটি গড়ে উঠছে। তবে মন্দিরের বিগ্রহ পাথরের তৈরি। পুরীর মতো নিমকাঠের নয়।
মন্দিরের পূর্বদিকের অংশে দীঘা-নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ করে বাইপাস রাস্তা তৈরি হবে। উন্নয়ন সংস্থার ওই জায়গা দখল করে ৯০টি দোকান বসে গিয়েছে। দোকানদারদের জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য উন্নয়ন সংস্থার তরফে মাইকিং করা হয়েছে। রামনগর-১ ব্লক প্রশাসন সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে দোকানদারদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে। বলা হয়েছে, দু’দিনের মধ্যে উঠে না গেলে উচ্ছেদের পথেই হাঁটা হবে।
২০ জুন রাস্তা সম্প্রসারণ শুরু হবে। তার আগে রাস্তার পাশের জায়গা মাপজোক করা হবে। রাস্তা লাগোয়া জমির মালিকদের ১৯ জুন মাপজোকের সময় উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। যেদিনই উদ্বোধন হোক না কেন, নতুন জগন্নাথ মন্দির থেকে রথে ওল্ড দীঘার পুরনো জগন্নাথ মন্দিরে মাসির বাড়িতে যাবেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। তাই রাস্তা সম্প্রসারণে জোর দেওয়া হয়েছে। রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাইচরণ সার বলেন, উন্নয়ন সংস্থার জমি দখল করে যাঁরা ব্যবসা করছেন, তাঁদের সরে যেতে বলা হয়েছে।