গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
এনিয়ে আরামবাগ গার্লস স্কুলের পরপর দুই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। বৃহস্পতিবার রাতে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শুভেচ্ছা দত্তর ঝুলন্ত দেহ ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনাতেও পুলিস প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারে, পারিবারিক অশান্তির জেরে ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছে। ফের এধরনের ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে আরামবাগের শিক্ষামহল উদ্বিগ্ন।
মৃত টুম্পা সিংয়ের মা শিবানী সিং বলেন, রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ স্বামীর সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। সেসময় মেয়ে ঘরের ভিতর গলায় দড়ি দেয়। সংসারে অশান্তি হয়। আবার মিটেও যায়। কিন্তু আমাদের ঝগড়া দেখে মেয়েটা গলায় দড়ি দিল।
১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, মেয়েটির বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করে। এলাকার মানুষ আমাকে জানিয়েছেন, পরিবারে প্রায়দিনই অশান্তি হতো। মেয়েটি সহ্য করতে না পেরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
আরামবাগ গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রাজশ্রী দে বলেন, স্কুলের দুই ছাত্রীর পরপর মৃত্যুর ঘটনায় আমরা চিন্তিত। বাবা-মায়ের অশান্তি এই ঘটনার কারণ হিসেবে উঠে আসছে। আমরা ছাত্রীদের অভিভাবকদের নিয়ে কাউন্সেলিং করার চিন্তাভাবনা করছি। আরামবাগ থানার তরফে জানানো হয়েছে, দেহটি আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।