গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
ব্লকের পান চাষি কল্যাণ সমিতির সহ সম্পাদক সুবোধ বিশ্বাস বলেন, সীমান্তবর্তী এই এলাকায় সেইসময় প্রচুর পান চাষ হতো। পানচাষিদের স্বার্থে কেচুয়াডাঙায় তিন বিঘা জমির উপর এই হিমঘরটি তৈরি হলেও কোন পানচাষি কিংবা ক্ষুদ্র পান ব্যবসায়ীর কোনও কাজে লাগেনি। পান ও কাঁচা সব্জি যাতে নষ্ট না হয় সেই উদ্দেশ্যে এই হিমঘরটি তৈরি করা হয়েছিল।
হিমঘরে কাঁচামাল রাখার র্যাক বা তাক, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এখন পানের চাষ কমে গেলেও এলাকায় প্রচুর সব্জি চাষ হয়। অথচ এত টাকা ব্যয়ে তৈরি হিমঘর কারও কোনও কাজে লাগছে না। এব্যাপারে বারবার প্রশাসনের কাছে জানানো হয়েছে। গত প্রায় এক বছর আগে প্রশাসনের আধিকারিকরা এসে দেখেও গিয়েছেন। করিমপুর উদ্যান ও কৃষি কল্যাণ সমিতির সম্পাদক বিশ্বনাথ বিশ্বাস বলেন, পান ও সব্জি চাষিদের জন্য সরকারের হিমঘর তৈরির সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। ওই হিমঘরের কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা ছিল। বিশেষ করে হিমঘরের উষ্ণতা বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা কত শতাংশ সে সম্পর্কে চাষিদের সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া হয়নি। কতদিন পর্যন্ত পান ওই হিমঘরে রাখা যাবে বা হিমঘর থেকে বাইরে বের করার পরে পান কতদিন ভালো থাকবে, পানের রং ও গুনমান বজায় থাকবে কিনা সেটাও পরিষ্কার জানানো হয়নি। আগে প্রশাসন বা প্রযুক্তিবিদদের এই বিষয়গুলি সম্পর্কে চাষিদের সচেতন করা প্রয়োজন ছিল।
এক পান চাষি বলেন, এখন পানের চাষ অনেক কম। সকলেই এখানে প্রান্তিক চাষি। সামান্য জমিতে পান কিংবা সব্জি চাষ করেন। হিমঘর সম্পর্কে আমাদের কোনও ধারণা নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা পান-সব্জি বিক্রি না হলে কিছু সময় হিমঘরে রাখা গেলে চাষিদের সুবিধা হবে। করিমপুরের বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায় জানান, এত টাকা খরচের পরও হিমঘরটি এখনও চালু করা যায়নি। বিষয়টি সম্পর্কে আমি জেনেছি। আগে বেশ কয়েকবার এটি চালু করার বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েও সম্ভব হয়নি। হিমঘরটি চালু করার ব্যাপারে নতুন করে আবার উদ্যোগ নেওয়া হবে।