সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, কয়েক বছর আগে বর্ধমান থানার দুবরাজদিঘি মালিরবাগান এলাকার ঝুমা মণ্ডলের সঙ্গে শুভেন্দুর বিয়ে হয়। তাঁদের তিন বছরের এক ছেলে রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে ঝুমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। রবিবার সকালে তাঁর উপর নির্যাতন চালানো হয়। তিনি ফোন করে ঘটনার কথা বাপেরবাড়িতে জানান। বেলা ১২টা নাগাদ ঘরে অশান্তির কথা জানিয়ে ঝুমার বাপেরবাড়িতে ফোন করে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বাপেরবাড়ির লোকজন গিয়ে ঝুমাকে বাড়ির বাথরুমের দরজার সামনে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃতার ভাই প্রসেনজিৎ মণ্ডল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁর দিদি। অভিযোগ পেয়ে বধূ নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার ধারায় মামলা রুজু করেছে থানা।
স্ত্রীকে মারধর ও মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান মহিলা থানার পুলিস। ধৃতের নাম রাজেশ শাহ। বর্ধমান থানার খাগড়াগড়ে তার বাড়ি। সোমবার দুপুরে খাগড়াগড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিস জানিয়েছে, বর্ধমান থানার কেষ্টপুর মাঠপাড়ার আকলিমা খাতুনের সঙ্গে বছর সাতেক আগে রাজেশের বিয়ে হয়। বিয়েতে চাহিদামতো পণ দেওয়া সত্ত্বেও বিয়ের কিছুদিন পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। দিনকয়েক আগে তাঁকে তালাক দিয়ে অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করার কথা স্ত্রীকে জানায় রাজেশ। প্রতিবাদ করায় আকলিমাকে মারধর করা হয়। গলা টিপে তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। আকলিমা বর্ধমান সিজেএম আদালতে মামলা করেন।