সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
পলাশডাঙা হাইস্কুলের শিক্ষক অমৃতেশ রায় বলেন, অংশু পড়াশোনায় ভালো। ক্লাসে বরাবর প্রথম অথবা দ্বিতীয় স্থানে থাকত। তার এই সাফল্যে আমরা খুশি হয়েছি। অংশুর বাবা বিশ্বনাথ দাস ডিহাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসুদেবপুর গ্রামে একটি মুদিখানা দোকান চালান। অংশুর মা পুতুল দাস গৃহবধূ। অংশু তাঁদের একমাত্র ছেলে। সে পঞ্চম শ্রেণী থেকেই পলাশডাঙা হাইস্কুলে পড়ে। বিশ্বনাথবাবু বলেন, মুদির দোকান থেকে খুব বেশি আয় হয় না। আর্থিক সমস্যায় ছেলের চাহিদামতো পর্যাপ্ত বই ও টিউশন দিতে পারিনি।
পুতুলদেবী বলেন, ছেলে পড়াশোনায় ফাঁকি দেয় না। ওকে পড়ার জন্য বলতে হয় না। কিন্তু আগামী দিনে ছেলের উচ্চশিক্ষার খরচ কীভাবে চলবে জানি না। তার উপর ছেলের ডাক্তারি নিয়ে পড়ার ইচ্ছা রয়েছে।
অংশু বলল, পড়াশোনার ফাঁকে পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করেছি। তবে ধারাবাহিকভাবে পড়াশোনা করেছি। উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে বড়জোড়া হাইস্কুলে ভর্তি হব। তারপর নিট পরীক্ষা দিয়ে ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছে রয়েছে। তবে পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। ভবিষ্যতে পড়ার খরচ কীভাবে চলবে-তা বুঝে উঠতে পারছি না।