সন্তানের দাম্পত্য অশান্তিতে মানসিক চিন্তা। প্রেম-প্রণয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ ও মনঃকষ্ট। ব্যবসার অগ্রগতি। ... বিশদ
সোমবার আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের ভোটে বেশকিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি হয়। ভোটদানপর্ব মেটার পরও কয়েকটি জায়গায় অশান্তি হয়। সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মলয়পুর-২ পঞ্চায়েতের পূর্ব কেশবপুরে এলাকায় সিপিএমের কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর চালানো হয়। এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আরামবাগ থানার পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সিপিএম কর্মী আফসার মল্লিক বলেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা প্রথম আমার বাড়িতে হামলা চালায়। ঘরে ঢুকে ভাঙচুর করে। এলাকার অন্যান্য সিপিএম কর্মীদের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। সিপিএম করি বলে এভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। সৌভাগ্যক্রমে সেইসময় বাড়িতে ছিলাম না। থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তির দাবি করছি। সিপিএম কর্মী মির্জা রামিজ বলেন, ঘরে টিভি দেখছিলাম। সেইসময় বাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল-পাটকেল ছোড়া হয়। সাত থেকে আটজনের একটা দল বাইরে থেকে গালিগালাজ করতে থাকে। আমাকে বাড়ির বাইরে আসতে বলে। ওদের ছোড়া পাথরে আমার বোন তানজিনা বেগম গুরুতর জখম হয়। বোনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। গত পঞ্চায়েত ভোটে পঞ্চায়েত সমিতির আসনে দাঁড়িয়ছিলাম। সিপিএমের শক্তি বাড়ছে। সেই ক্ষোভ থেকেই এই হামলা হয়েছে। আরামবাগের সিপিএম প্রার্থী বিপ্লব মৈত্র বলেন, আমাদের দলের কর্মীদের নানাভাবে হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে। এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে সিপিএমের কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। সিপিএমের শক্তি বৃদ্ধি থামাতে পরিকল্পিতভাবে এই আক্রমণ করা হয়েছে। আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি রামেন্দু সিংহরায় বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। ওদের দলের নিজেদের মধ্যে কোনও অশান্তি হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে। আরামবাগ থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়, অভিযোগ হয়েছে। পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।