সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
এদিকে ভিনরাজ্য থেকে ফিরলেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বাধ্যতামূলকভাবে থাকার ফর্মুলা কাজে আসতে শুরু করেছে। সংবেদনশীল পাঁচ রাজ্য ছাড়াও অন্য যে কোনও রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে(যেগুলি কিছুটা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের মতোই কাজ করছে) বাধ্যতামূলকভাবে থাকার কথা বলেছিলেন তৃণমূল সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র। পরিষ্কার জানিয়েছিলেন, কেউ বাড়ি ফিরবেন না। পাড়ার স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে, সেখানে যান। সংসদ সদস্যের পরামর্শে জেলা প্রশাসনও এভাবে এগয়। এদিন দু’টি পজিটিভ কেস আসার পরও ওই ফর্মুলা মানায় কন্টেইনমেন্ট জোন করতে হয়নি।
মহুয়াদেবী বলেন, তেহট্ট-২ ব্লকে যে পজিটিভ কেস হয়েছে তিনি হরিয়ানা থেকে এসেছেন। আমরা তাঁকে হোম কোয়ারেন্টাইনে না রেখে একটি স্কুলে রেখেছিলাম। তেহট্ট-১ ব্লকের একজনও এরকম স্কুলে ছিলেন। যেহেতু তাঁরা স্কুলে ছিলেন তাই তাঁদের বাড়ির এলাকা কন্টেইনমেন্ট জোন করতে হচ্ছে না। এটা আমরা প্রথম থেকেই বলে এসেছি। এটার সুফল আমরা পেলাম। অর্থ খরচ, অনেক পরিশ্রম থেকে রেহাই পাওয়া গেল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন ছ’টি কেসের মধ্যে তেহট্ট-১ ব্লকে তিনটি, তেহট্ট-২ ব্লকে একটি, চাপড়ায় একটি এবং রানাঘাট পুরসভা এলাকায় একটি। করোনার থাবা এই প্রথম পড়ল রানাঘাট শহরে। বুধবার রাতে শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের চেন্নাই ফেরত বছর ৪২-এর ইঞ্জিনিয়ারের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। তাঁকে কল্যাণীর কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। কাদের সংস্পর্শে তিনি এসেছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তেহট্ট মহকুমায় আবারও চারজনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। তেহট্ট-১ ব্লকের নওদাপাড়ায় এক মহিলার করোনা ধরা পড়েছে। ওই মহিলার স্বামী করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর থেকে এই সংক্রমণ। ফলে জেলায় গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। পাথরঘাটা এলাকায় এক পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা ধরা পড়ে। তিনিও বাইরে থেকে ফিরে স্কুলে ছিলেন। চাঁদেরঘাটে এক বৃদ্ধের করোনা ধরা পড়েছে।
তেহট্ট-২ ব্লকের পলসন্ডা এলাকায় এক পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। ওই যুবক হরিয়ানা থেকে আসেন। ওই যুবকও একটি স্কুলে ছিলেন। পুনে থেকে ফিরে চাপড়ার এক যুবক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁকেও বাড়ি না পাঠিয়ে রুইপুকুর কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়। ফলে মোট তিনটি ক্ষেত্রে এলাকা সিল করতে হচ্ছে না। তবে রুইপুকুর কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে করোনা আক্রান্তের হৃদিশ মেলার পরেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে।