সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ৩টে নাগাদ কালীসায়র মোড়ের কাছে দুর্ঘটনার জোরালো শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পান একটি গোরুবোঝাই গাড়ি, একটি পুলিসের গাড়ি ও একটি ১০চাকার ট্রাক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। তবে কী কারণে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গোরুবোঝাই গাড়িটির পিছনে ধাওয়া করছিল বোলপুর থানার পুলিস। গাড়িটি বোলপুর থেকে ইলামবাজারের দিকে যাচ্ছিল। অপরদিক থেকে একটি ১০চাকা ট্রাক বোলপুরের দিকে আসছিল। শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত রূপপুর পঞ্চায়েত সংলগ্ন কালীসায়র মোড়ের কাছে গোরু বোঝাই গাড়িটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় ট্রাকটির। পুলিসের তাড়া খেয়ে তীব্র গতিতে ছুটতে থাকা গাড়িটি প্রথমে গিয়ে ধাক্কা মারে ট্রাকটিতে। তারপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুলিসের গাড়ির সঙ্গেও সংঘর্ষ হয় ট্রাকটির। ঘটনাস্থলেই দু’টি গোরু সহ দু’জনের মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, মৃত দু’জন একই পরিবারের সদস্য। তাঁদের নাম গয়েশ বাউরি(২৮) ও কচি বাউরি(২৬)। বাড়ি ইলামবাজার থানার ধল্লা গ্রামে। অন্যদিকে, ট্রাকের সঙ্গে পুলিসের গাড়ির সংঘর্ষে বোলপুর থানার এএসআই অনুকূল মাল ও পাঁচজন সিভিক ভলান্টিয়ার আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তিনজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁদের মধ্যে রাজু সাউ নামে একজন সিভিক ভলান্টিয়ারের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। দুর্ঘটনাগ্রস্ত দু’টি গাড়িকেই আটক করেছে বোলপুর থানার পুলিস।
প্রসঙ্গত, বোলপুর মহকুমার ইলামবাজার থানা এলাকার সুখবাজারে প্রতি শনিবার গোরু কেনাবেচার হাট বসে। দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে সবথেকে বড় গোরুর হাট এটি। প্রতি শনিবার কোটি কোটি টাকার গোরুর কারবার চলে এখানে। অভিযোগ, এই হাট থেকে ছোট ম্যাটাডোর, লরি, ট্রাকে করে গোরু বাংলাদেশ সহ রাজ্যের নানান জায়গায় পাচার হয়। বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারেরা যে জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করেছিল তাদেরও যোগসূত্র মিলেছিল এই গোরুর হাটের সঙ্গে।