সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৪নভেম্বর বাঘমুণ্ডির চড়িদা থেকে ঘড়াবাঁধা এলাকার মাঝে ফাঁকা রাস্তায় হুড়ুমদা গ্রামের বাসিন্দা জয়প্রকাশ কুমার নামে এক ব্যাঙ্ক মিত্রের কাছ থেকে ফিল্মি কায়দায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা সহ বেশকিছু সামগ্রী বাইক থেকে ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ছিনতাইয়ের ঘটনার তদন্তে নেমে ঘটনাস্থল থেকে একটি কাপড়ের টুকরো মেলে। সেই কাপড়ের টুকরো কোনও ‘নাইটির’ একাংশ ছিল। সেই কাপড়ের টুকরোর সূত্র ধরেই পুলিস তদন্ত শুরু করে। পরে ঝাড়খণ্ড পুলিস এবং বাঘমুণ্ডি থানার পুলিস যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে চড়া এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বাঘমুণ্ডির একেবারে শেষ সীমান্তে থাকা হুড়ুমদা গ্রাম থেকে ঝাড়খণ্ডের চড়া গ্রামের দূরত্ব খুবই কম। দীর্ঘদিন ধরেই হুড়ুমদা গ্রামের ওই ব্যাঙ্কমিত্রের গতিবিধি দুষ্কৃতীরা নজরে রেখেছিল। ধৃতদের মধ্যে ছোটে মোমিন ওই ব্যাঙ্ক মিত্রের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য বাকি দু’জনকে দেয়। ঘটনার দিনও ব্যাঙ্ক থেকেই সে জয়প্রকাশবাবুর পিছু নেয়। পরে জয়প্রকাশবাবু ফাঁকা রাস্তায় পৌঁছনোয় অন্য দু’জন বাইকে চেপে এসে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে টাকা ছিনতাই করে চম্পট দেয়।
এদিকে জেল হেফাজতে থাকাকালীন ধৃতদের টিআই প্যারেডের জন্য আবেদন জানায় পুলিস। টিআই প্যারেডের পরই ধৃতদের পুলিস হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় পুলিস। ধৃতদের জেরা করে লুট হওয়া টাকা এবং আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজ পাওয়া যাবে বলে আশা পুলিসের।