সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
বেশ কিছুদিন ধরেই কালনা মহকুমা খাদ্য দপ্তর ও মহকুমা শাসক দপ্তরে মহকুমার বিভিন্ন রেশন দোকানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ আসছিল। কোথাও নিয়মিত রেশন দোকান না খোলা, ক্যাশমেমো না দেওয়া, ওজন কম দেওয়া সহ নানা অভিযোগ উঠছিল। এই অভিযোগের বিরুদ্ধে কালনা মহকুমা খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা ও মহকুমা শাসক নিজে মহকুমার বেশকিছু দোকানে অভিযান চালান। রেশন দোকানগুলিতে তাঁরা অনিয়ম দেখতে পান। এরপরই কালনার মধুপুরের রেশন ডিলার সন্ধ্যা মজুমদাকে ২০হাজার টাকা, পূর্বস্থলীর হাপানিয়ার বাবর আলিকে ৫০হাজার টাকা, নাদনঘাটের তাপস ঘোষকে ১৭হাজার টাকা ও কালনার শিকারপুরের মহম্মদ আলি মল্লিককে ১৫হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়াও কালনার ধাত্রীগ্রামের তুলসী বাইল, সমুদ্রগড় নসরৎপুরের সমর বসাক, চাপাহাটির পরেশ দেবনাথ ও দক্ষিণবাটির জীবনকৃষ্ণ বালাকে শোকজ করা হয়। শোকজের সঠিক জবাব না দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রাহকরা দপ্তরের এই পদক্ষেপে খুশি হলেও তাঁরা বলেন, বেশকিছু রেশন দোকানের অনতি দূরে গ্রাহকদের কাছ থেকে রেশনের আটা, গম ও চাল কেনার জন্য একটি চক্র সক্রিয়। তাদের বিরুদ্ধেও অভিযান চলানো হোক।
কালনার মহকুমা শাসক নীতেশ ঢালি বলেন, রেশন দোকানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছিল। তা তদন্ত করে জরিমানা ও শোকজ করা হয়েছে। কালনা মহকুমা খাদ্য নিয়ামক অভিজিৎ বেজ বলেন, কিছু রেশন দোকানের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছিল। অভিযান চালিয়ে অসঙ্গতি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। চারজনের বিরুদ্ধে জরিমানা করা হয়েছে। চারজনকে শোকজ করা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে এই অভিযান চলবে।