সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
প্রতিদিনের মতো এদিনও বিমলেন্দুবাবু তাঁর শিক্ষক সহ কর্মীদের নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে বের হন। তারমাঝে তিনি প্রচারও সারেন। এদিন সকাল থেকেই বৃষ্টি পড়ছিল। বিমলেন্দুবাবু একটি চায়ের দোকানে থাকাকালীন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। তবে এদিন বৃষ্টির কারণে কেউ বেশি প্রচার করতে পারেননি। এদিন জয়প্রকাশবাবু দেখতে পান তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহরায় চায়ের দোকানে বসে আছেন। তিনি সৌজন্য দেখাতে ওই চায়ের দোকানে বিমলেন্দুবাবুর দিকে এগিয়ে যান। তাঁকে এগিয়ে আসতে দেখে বিমলেন্দুবাবু উঠে দাঁড়ান। তারপর দু’জনে কুশল বিনিময় করেন। দুই প্রার্থী নিজেদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেন। তবে তাঁদের মধ্যে রাজনীতির বিষয় নিয়ে তেমন কোনও কথা হয়নি বলে দু’জনেই জানিয়েছেন। দু’জনের মধ্যে হাল্কা রসিকতা হয়। জয়প্রকাশবাবু বিমলেন্দুবাবুর কাছে জানতে চান, এই করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে আপনাদের দায়িত্বে কে আছেন। বিমলেন্দুবাবু বলেন, মহুয়া মৈত্র। তখন তিনি রসিকতা করে বলেন, কাগজে তো অনেক নেতাই বলছেন আমি দায়িত্বে আছি। এই কথা শুনে দুই প্রার্থীর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন তাঁরাও হেসে ওঠেন। কথা বলার মাঝে তাঁরা দু’জনে একসঙ্গে বসে চা খান। তারপরে দু’জন প্রচারে বেরিয়ে যান। দুই প্রার্থীর এই সৌজন্য বিনিময় দেখে প্রাতঃভ্রমণকারী মানুষজন খুব খুশি। তাঁরা বলেন, এটাই আমাদের ভারতবর্ষ। রাজনীতির আগে আমরা মানুষ। আজকের দুই প্রার্থীর এই সৌজন্য তা প্রমাণ করল। বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, আমরা দু’জন দুই দলের প্রার্থী হলেও আমাদের মধ্যে দেখা হলে সৌজন্য দেখাব না তা হয় না। হাজার হোক আমরা বাঙালি। আর আমাদের মধ্যে এই সৌজন্য বোধ চিরকাল কাজ করে। অন্যদিকে, এবিষয়ে বিমলেন্দুবাবু বলেন, উনি আমার দিকে এগিয়ে এলে আমাদের দু’জনের সৌজন্য বিনিময় হয়। আমাদের মধ্যে হালকা দু’একটি কথা হয়। রাজনীতি নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনও কথা হয়নি। সকালে এই সৌজন্যতার পরে বিজেপি প্রার্থী প্রচারে যান করিমপুর সারদা শিশু নিকেতন স্কুলে। সেখানে তিনি পড়ুয়াদের অভিভাবক অভিভাবিকাদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গেও কথা বলেন। সেখান থেকে তিনি হাটঘর এলাকায় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার সারেন। পরে এই বৃষ্টির জন্য তাঁর বালিয়াডাঙা ও গোয়াস বাজারের প্রচার কর্মসূচি বাতিল করেন। অন্যদিকে, এদিন তৃণমূল প্রার্থীর প্রচার ছিল রহমতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। বৃষ্টির কারণে তাও বাতিল করেন তিনি। এদিন বৃষ্টির জন্য কোনও দল প্রচার করতে পারেনি ।
করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী থেকে কর্মী সমর্থকেরা। কোনও প্রার্থী পদযাত্রার মাধ্যমে প্রচার সারছেন। আবার কেউ বিভিন্ন অঞ্চলে ছোট ছোট মিটিং করে মানুষের সঙ্গে মিলিত হচ্ছেন। এদিন বিজেপির পঞ্চায়েত ভিত্তিক প্রচার শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে বৃষ্টির জন্য তা বাতিল হয়ে গিয়েছে।