সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জগৎ বিখ্যাত বালুচরি শাড়ি জিয়াগঞ্জের গঙ্গাতীরের বালুচর গ্রামেই প্রথম উৎপাদিত হয়ে বিখ্যাত হয়েছিল ‘বালুচরি’ শাড়ি নামে। বালুচরি শাড়ির গায়ে সূক্ষ্ম শিল্পকর্ম শুধু সে যুগের মানুষ আর নবাব-রাজাদেরই নয়, আজকের শিল্পবোদ্ধাদের সমান অবাক করে। বিভিন্ন গ্রন্থভিত্তিক তথ্য থেকে জানা যায়, মুর্শিদাবাদ জেলার বর্তমান জিয়াগঞ্জ শহরের নাম ছিল বালুচর। এই শহরের আশেপাশে ছিল বেলেপুকুর, রণসাগর, বালিগ্রাম, বাগডহর, দুবরোখালি, আমুইপাড়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এই সকল গ্রামে ১৫০০-২০০০ তাঁতশিল্পী ও তাঁদের পরিবার বাস করত। এখানকার তাঁতশিল্পীরাই বালুচরি শাড়ির উৎপাদন শুরু করেন। তবে, বালুচরি শাড়িকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছিলেন দুবরাজ দাস নামে এক তাঁতশিল্পী। তাঁর অনন্য সাধারণ উদ্ভাবন ও শিল্প নৈপুণ্য বাংলার বস্ত্রশিল্পের প্রতি বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে সক্ষম হয়। দুবরাজ দাস দেশি তাঁতে এক জটিলতম প্রণালী উদ্ভাবন করেন। যা দিয়ে শুধু কোণা বা আঁচলা নয়, সমগ্র শাড়িতেই যে কোনও ধরনের বুটিদার ফুলওয়ালা ও কল্কা নকশা ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হন। নকশার এই আভিজাত্য তাঁকে বিশ্বখ্যাতি এনে দেয়। বলা হয় দুবরাজ দাসের দেশি তাঁতে বোনা নকশার শাড়িই ‘বালুচরি শাড়ি’ নামে খ্যাত।
এদিন সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত একঘণ্টা তাঁতিপাড়ায় ঘুরে দেখে দলটি। এরপরেই স্থানীয় ব্যবসায়ী রঞ্জন শোশার বাড়িতে যায় বিদেশি পর্যটকের দলটি। তাঁতিপাড়ার একাধিক দোকানে ঘুরে ঘুরে বালুচরি, মুর্শিদাবাদ সিল্ক, মসলিন সহ বেশ কিছু শাড়ি এবং কুর্তি এবং চুরিদার কেনাকাটা করে। দলটিতে সস্ত্রীক ছিলেন আমেরিকার নাগরিক মিস্টার কেইন। মিসেস কেইন নিজের এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য বালুচরি এবং মুর্শিদাবাদ শাড়ি কেনেন। মিস্টার কেইন বলেন, অনেক আগেই জিয়াগঞ্জে তৈরি বিখ্যাত বালুচরি শাড়ির নাম শুনেছি। মূলত তাঁতে বালুচরি শাড়ি বোনা দেখতে এবং কেনার জন্যই কলকাতা থেকে জিয়াগঞ্জে এসেছি। দলের অপর এক সদস্য জার্মানির নাগরিক ডেভিড স্মিথ বলেন, বালুচরে তৈরি বালুচরি শাড়ি সত্যি আমাদের মন জয় করে নিয়েছে। তাঁতিপাড়ার ব্যবসায়ী রঞ্জন শোশা বলেন, মাসখানেক আগে বিদেশি পর্যটকদের একটি দল তাঁতিপাড়ায় এসেছিল এবং ঘুরে দেখার পরে তাঁতিদের থেকে বেশ কয়েকটি শাড়িও কিনে নিয়ে যায়। তবে, আজকের দলটিতে অনেক বেশি সদস্য ছিলেন। দলটি বালুচরি, মসলিন এবং মুর্শিদাবাদ সিল্ক কিনেছে। অপর ব্যবসায়ী আদিত্য বৈলদ্যা বলেন, প্রতিবছর শীতের মধ্যে দু’-একটি বিদেশি পর্যটকের দল জিয়াগঞ্জের তাঁতিপাড়ায় আসে এবং কেনাকাটাও করে। কিন্তু, চলতি বছরে মাসখানেক আগেই বিদেশি পর্যটকদের দল আসতে শুরু করেছে। জিয়াগঞ্জের তাঁতিপাড়া থেকে রানি ভবানীর বড়নগরের উদ্দেশে রওনা দেয় দলটি।