কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
জলপাইগুড়ি শহরের বুক চিরে বয়ে চলা নদীটি বর্ষায় ফুলেফেঁপে উঠলেও নভেম্বর থেকে মে, জুন মাস পর্যন্ত জলস্তর তলানিতে নেমে যায়। আর এই সময়েই করলায় দূষণের মাত্রা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে। অসচেতনতার কারণে নদীতে আবর্জনা ফেলা থেকে শুরু করে বাজার এলাকার বর্জ্য এসে পড়ে জলে। যার ফলে এই সময়কালে নদী ও ঘাটগুলিতে ফেলা আবর্জনাও জমে থাকে। সবথেকে করুণ অবস্থা হয় দিনবাজার এলাকায়। করলা নদীর এই অংশ প্রায় ডাস্টবিনের চেহারা নিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই গরমের সময় বেড়ে যায় মশার উপদ্রব। আর এই গোটা বিষয়টি সম্প্রতি নজরে আসে সদর মহকুমা প্রশাসনের। তারপরই নদীর সাফাইয়ের জন্য শুরু হয় তোড়জোড়। জলপাইগুড়ি পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার দেবদুলাল পাত্র বলেন, পরিচ্ছন্ন থাকুক করলা নদী, তাই এই উদ্যোগ। এমনিতে কিন্তু নদীর বহমানতা, নাব্যতা হ্রাস পেয়েছে। যার ফলে বর্জ্য ফেলা হলে তা জমে থাকছে। সঙ্গে এখন কচুরিপানা হচ্ছে। জমে থাকা এসব আবর্জনা সরাতে এদিন একটি নৌকা নামানো হয় বলে জানান পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার। তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার আরও একটি নৌকা, আর্থমুভার নামিয়ে যতটা সম্ভব ভাসমান ময়লা পরিষ্কার করা হবে। লাগাতার এখন এই কাজ চলবে।
পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, এই কাজ এখন চলবে। নদীকে যতটা সম্ভব পরিষ্কার করা হবে। আমরা চাই নদীটি আগের মতোই সুন্দর রূপ ফিরে পাক। জলপাইগুড়ি শহরের একটি পরিবেশপ্রেমীদের সংগঠনের সদস্য দীপাঞ্জন বক্সি বলেন, শহরের ‘ফুসফুস’ করলা। পুরসভার তরফে নদীটি রক্ষার উদ্যোগ শুরু হয়েছে দেখে আমরা খুব খুশি। এই সাফাই কর্মসূচি চলুক।