কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত শনিবার পর্যন্ত কালচিনিতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৭ জন। রবি, সোম ও মঙ্গলবার তিনদিনে কালচিনি ব্লকে আরও ৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে কালচিনিতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩। অন্যদিকে, মঙ্গলবার পর্যন্ত কালচিনি সহ জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৭৮।
জেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যের সঙ্গে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের পর্যালোচনা বৈঠক হয়। তারপরেই রাজ্যের নির্দেশে বুধবার থেকে চা বাগানে ক্যাম্প করে ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে সরাসরি রক্তের নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। জেলা উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুপ্রিয় চৌধুরী বলেন, এতদিন জ্বর নিয়ে হাসপাতালে যাঁরা আসছিলেন, তাঁদেরই শুধুমাত্র রক্তের পরীক্ষা হচ্ছিল। রাজ্যের নির্দেশে এবার সরাসরি চা বাগানে গিয়ে শিবির করে রক্তের নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করা হয়েছে। আমরা প্রতিদিন ১০০ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহের টার্গেট নিয়েছি।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, জ্বর হলেও অনেকেরই হাসপাতালে আসার অনীহা রয়েছে। বিশেষ করে চা বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে এই অনীহা বেশি করে কাজ করছে। যার জন্য ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিহ্নিত করার কাজও ব্যাহত হচ্ছে। এবার সেই ফাঁক ভরাট করতেই চা বাগানগুলিতে ক্যাম্প করে রক্তের নমুনা সংগ্রহ অভিযান শুরু করল স্বাস্থ্যদপ্তর।
স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, এদিন ভাটপাড়া ও ডিমা দু’টি চা বাগান থেকে জ্বর রয়েছে এরকম ৫০ জন করে ১০০ শ্রমিকের রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, ক্যাম্প করে রক্তের নমুনা সংগ্রহের ফলে স্বাভাবিকভাবেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাবে।
কালচিনি ব্লকে চা বাগানের সংখ্যা ২৩টি। আক্রান্তরা বেশিরভাগই বাগানের শ্রমিক। স্বাস্থ্যদপ্তরের যুক্তি, কম বৃষ্টির কারণে কালচিনির প্রতিটি চা বাগানের অপরিষ্কার নিকাশি নালায় জল জমে থাকছে। আর সেই জমা জলেই ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা ডিম পাড়ছে। তাই ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে কালচিনির প্রতিটি বাগানে ঘুরছে ব্লক প্রশাসনের ভেক্টর বর্ন ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল টিম। কালচিনির চা বাগানগুলির ম্যানেজারদের নিয়ে ডুয়ার্সকন্যায় জেলা প্রশাসনও বৈঠক করেছে।
বৈঠকে বাগান ম্যানেজারদের নালা পরিষ্কার রাখা ও জল জমতে না দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কোন শ্রমিকের জ্বর হয়েছে সন্দেহ হলেই বাগান ম্যানেজারদের ব্লক প্রশাসন ও ব্লক স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।