কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
আচমকাই হস্টেল মনিটরিং কমিটির দুই গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে দুই প্রশাসনিক কর্তার ইস্তফায় ক্ষুব্ধ খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দেবাশিস দত্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল মনিটরিং কমিটির পদ থেকে বুধবার অব্যাহতি নিয়েছেন কমিটির চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন ডিন সুভাষচন্দ্র রায় ও কো-অর্ডিনেটর পদ থেকে ইস্তফা দেন প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বপন রক্ষিত।
এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়য়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আধিকারিকদের সঙ্কট চলছে। প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ পদগুলি এক আধিকারিক একাধিক দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ফলে আধিকারিক সঙ্কেটে এমনিতেই টালমাটাল অবস্থা। এমন অবস্থায় হস্টেল মনিটরিং কমিটির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে দুই আধিকারিক ইস্তফা দেওয়ায় কার্যত ল্যাজেগোবরে অবস্থা প্রশাসনিক কর্তাদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ওই দুই কর্তার ইস্তফার ঘটনায় যথেষ্টই ক্ষুব্ধ। রেজিস্ট্রার দেবাশিস দত্ত বলেন, স্বপনবাবুর ইস্তফা দেওয়াটা তেমন কিছু নয়। কারণ উনি আরও কয়েকটি পদে রয়েছেন। ওঁর শারীরিক অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। কিন্তু সুভাষবাবু যদি প্রকৃতই বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালো বাসতেন তবে তিনি এই সঙ্কটজনক মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ইস্তফা দিতেন না। ওঁর কাছে এটা আশা করিনি। ওঁকে ভীষণ দায়িত্বপূর্ণ মানুষ বলে ভাবতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন আধিকারিকের অভাব। কবে নতুন উপাচার্য আসবেন তাও ঠিক নেই। সুভাষবাবু বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও বিপদে ফেলে দিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ও ছাত্রী মিলিয়ে মোট ১১টি হস্টেল। ১১টির মধ্যে একটি নতুন হস্টেল হয়েছে। হস্টেলগুলিতে মাঝেমধ্যে ছোটখাট বিষয় নিয়ে অভিযোগ আসছে। সেসব ঘটনা সামাল দেয় হস্টেল মনিটরিং কমিটি। কিন্তু দুই কর্তা ইস্তফা দেওয়ায় ওসব ঘটনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে বলেই মনে করছে কর্তৃপক্ষ। যদিও অভিযোগ প্রসঙ্গে সুভাষচন্দ্র রায় বলেন, তিনবছর ওই দায়িত্ব সামলেছি। এবার নতুনদের সুযোগ করে দিতেই এই সিদ্ধান্ত। এবার আমি নিজের গবেষণায় মন দেব। তবে রেজিস্ট্রারের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। স্বপন রক্ষিত বলেন, আমি অসুস্থ। এছাড়াও অন্য পদে রয়েছি। তাই চাপ সামলাতে পারছি না। ইস্তফা দিয়েছি।
এদিকে এদিনই হস্টেল মনিটরিং কমিটির শূন্যপদে নতুন করে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দেবাশিস দত্ত এবং কো-অর্ডিনেটর পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পলাশ পালকে।