কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে চার মাইলে রামকৃষ্ণ মিশনের ওই বাড়িটি। শনিবার গভীর রাতে ওই বাড়িতে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে টনক নড়ে পুলিসের। ঘটনার দু’দিন পর মঙ্গলবার তারা পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের নাম শম্ভু দাস, দেবাশিস সরকার, শম্ভু মাহাত, শ্যামল বৈদ্য ও রাজীব বসাক। প্রথম চারজন শালুগাড়া ও শেষেরজন মাটিগাড়ার বাসিন্দা। শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পূর্ব) দীপক সরকার বলেন, রামকৃষ্ণ মিশনের ওই বাড়িতে একটি ঘটনা ঘটে। ১৯ তারিখ সেই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ করে রামকৃষ্ণ মিশন। সেই ঘটনা নিয়ে তদন্তে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় সহ বাকিদের খোঁজ চলছে।
এদিকে, ধৃতরা কেজিএফ গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্ণাটকের কোলারের স্বর্ণখনি নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমা ‘কেজিএফ’। সেই সিনেমার নামের অনুকরণেই ভক্তিনগর থানা এলাকায় স্থানীয় দুষ্কৃতীরা তৈরি করে কেজিএফ গ্যাং। যাদের মূল পেশা জাতীয় সড়কে বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে তোলাবাজি করা। পাশাপাশি তারা দাদাগিরি করে এলাকা নিয়ন্ত্রণে রাখা, কন্ট্রাক্টে জমি দখল, ভাড়াটে উচ্ছেদ, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহ করা প্রভৃতি অপরাধমূলক কাজ সংগঠিত করে বলে অভিযোগ। সেভক রোড, শালগাড়া, চেকপোস্ট প্রভৃতি এলাকায় সংশ্লিষ্ট গ্যাংয়ের দাপট বেশি। ডিসিপি (পূর্ব) বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুরনো কোনও মামলা আছে কি না তাও জানার চেষ্টা চলছে।
বুধবার ধৃতদের জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে দখলের উদ্দেশ্যে বাড়িতে ঢোকা, ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা, চুরি, ভয় দেখানো, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে প্রায় ছ’টি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করার অভিযোগ উঠলেও মামলায় তা প্রতিফলিত হয়নি। এমনকী ঘটনার পর মূল অভিযুক্ত প্রদীপ থানায় গিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও তাকে কিছু করেনি পুলিস। ডিসিপি (পূর্ব) বলেন, মামলার তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। কাজেই তদন্ত রিপোর্ট অনুসারে পরবর্তীতে মামলায় ধারা লাগু করা যেতে পারে। আর সমগ্র ঘটনা নিয়ে অন্তর্বতী পুলিসি তদন্ত চলছে। এদিকে, জলপাইগুড়ি সিজেএম আদালতের সরকার পক্ষের আইনজীবী প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ধৃতদের পাঁচদিনের জন্য পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেসঙ্গে এই মামলায় ডাকাতির ধারা যুক্ত করার আবেদন জানায় পুলিস। আদালত তা মঞ্জুর করেছে।