নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
বনদপ্তর জানিয়েছে, বাইসনটিকে পাতলাখাওয়া জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন লোকালয়ে বাইসন বের হলেও হতাহতের কোনও ঘটনা হয়নি। তবে বাইসন ধরতে ভুট্টা খেতে ট্রাক্টর নিয়ে ঢুকে পড়ায় বেশকিছু জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যাঁদের খেত নষ্ট হয়েছে, তাঁরা আবেদন জানালে নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ পাবেন।
কয়েকদিন আগেও রুইডাঙা পঞ্চায়েতের রামঠেঙায় লোকালয়ে বাইসন দেখা গিয়েছিল। বনকর্মীরা অনেক চেষ্টার পর বাইসনকে ধরতে সক্ষম হয়েছিলেন। এদিন ফের নামাপাড়ায় বাইসনকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মাঠে কাজে যেতে পারছিলেন না বাসিন্দারা। বিঘার পর বিঘা জমিতে ভুট্টা খেত থাকায় বাইসনকে ধরতে সমস্যায় পড়তে হয় বনকর্মীদের। অপরদিকে, এদিনও বাইসন দেখতে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়। পুলিস ও বনকর্মীরা সাধারণ মানুষকে বাইসনের কাছাকাছি যেতে নিষেধ করেন। ট্রাক্টরে করে ভুট্টা খেতের ভিতর ঢুকে বাইসনটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়। কাবু হওয়ার পরে বাইসনটিকে পাতলাখাওয়া জঙ্গলে নিয়ে যান বনকর্মীরা।
বনদপ্তরের মাথাভাঙার রেঞ্জার সুদীপ দাস বলেন, এদিন রুইডাঙা পঞ্চায়েতের নামাপাড়ায় একটি বাইসন লোকালয়ে চলে এসেছিল। সকালে স্থানীয়রা বাইসনটিকে দেখার পর আমাদের খবর দেন। আমরা এসে বাইসনটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে কাবু করি। পর পর ভুট্টা খেত থাকায় বেশকিছুটা সময় লেগেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি। আমাদের কর্মীরা ভুট্টা খেতে ট্রাক্টর নিয়ে ঢোকায় খেতের ক্ষতি হয়েছে। আমরা বলেছি নির্দিষ্ট নিয়মে আবেদন করলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পরে বাইসনটিকে পাতলাখাওয়া জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জঙ্গলে ডাঁশমাছির উপদ্রবের কারণে এই সময়টাতে লোকালয়ে চলে আসে বাইসন। ভুট্টার কচিপাতা খাওয়ার লোভেও লোকালয়ে চলে আসে দলছুট বাইসন।