নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকে একটি ডিগ্রি কলেজ গড়ার দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ব্লকে সাদলিচক, মালিওর-১ ও ২, সুলতাননগর, ইসলামপুর, দৌলতনগর, ভালুকা, মশালদহ, দৌলতপুর এই ন’টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে ব্লকের মোট জনসংখ্যা ২ লক্ষ ৫১ হাজার ৩৪৫ জন। বর্তমানে তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতি বছর এই ব্লকের ১৪টি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসা থেকে বহু পড়ুয়া উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। উচ্চশিক্ষার জন্য তাঁদেরকে জেলা বা মহকুমা সদর, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের কলেজে যেতে হয়। ব্লকের বিহার সীমান্ত লাগোয়া ইসলামপুর, সাদলিচক, দৌলতনগর পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ছাত্রীদের কলেজ যেতে খুবই সমস্যা হয়। এই এলাকা থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর কলেজের দূরত্ব ২০ কিমি, চাঁচল বা সামসি কলেজের দূরত্বও অনেক।
ইসলামপুর সাগর হাই মাদ্রাসা থেকে এবারে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন তৌসিফা খাতুন। তাঁর বাড়ি ওই অঞ্চলের খোপাকাটি গ্রামে। তৌসিফা বলেন, বিহার সীমান্তবর্তী এই এলাকা থেকে কলেজ যাতায়াত করা খুব সমস্যার। এখান থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর কলেজের দূরত্ব ২০কিমি, চাঁচল বা সামসি কলেজ আরও দূরে। ব্লকে একটি কলেজ থাকলে সুবিধা হতো। ব্লকের জগন্নাথপুর হাই মাদ্রাসা থেকে এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে ওয়াহিদা পারভিন। তাঁর বক্তব্য, ভালুকা অঞ্চল থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর বা সামসি কলেজে প্রতিদিন যাতায়াত করা ভীষণ সমস্যা। ব্লকে একটি কলেজ হলে আমরা বাড়ি থেকে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেতাম।
ইসলামপুর সাগর হাই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাজামুল হক বলেন, ব্লকের পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দিতে একটি কলেজ স্থাপনের দাবি করছি। স্থানীয় বিধায়ক রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন বলেন, ব্লকে কলেজ হলে উচ্চশিক্ষার সুযোগ তৈরি হবে। বিষয়টি রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে জানানো হবে।