বিদ্যার্থীরা কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ভালো ফল করবে। বিবাহার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের কারও ... বিশদ
আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল ও ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তিনটি ট্রুন্যাট মেশিনে সোয়াব টেস্ট চলছে। স্বাস্থ্যদপ্তর জেলায় প্রতিদিন ২০০ সোয়াব টেস্ট করার টার্গেট নিয়েছে। সেজন্য আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের মেন্টর মোহন শর্মা ও পরিষদের সহকারী সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে সহ আরও তিন জন জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরকে এই ট্রুন্যাট মেশিন দেওয়ার জন্য ১৬ লক্ষ টাকা করে দিয়েছেন।
কিন্তু এই ট্রুন্যাট মেশিনের কার্যকারিতা নিয়ে সম্প্রতি জেলা জুড়ে নানা সংশয়, প্রশ্ন চিহ্ন ও বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছিল। এই সংশয় ও প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দেওয়ার মূল কারণ সম্প্রতি করোনা উপসর্গ থাকা এক মহিলা সহ পাঁচ জন পরিযায়ী শ্রমিকের ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ট্রুন্যাট মেশিনে সোয়াব টেস্টের ফল পজিটিভ আসে। কিন্তু জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সরকারিভাবে তা ঘোষণা করতে পারেনি। সেজন্য গত বৃহস্পতিবার নতুন করে ওই পাঁচ জনের সোয়াব পাঠানো হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। শনিবার রাতের দিকে সেখান থেকে পাঁচ জনের রিপোর্টই পজিটিভ আসায় এনিয়ে আর কোনও প্রশ্নচিহ্ন রইল না।
ওই পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিক আলিপুরদুয়ারের তপসিখাতা সারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। রিপোর্ট পজিটিভ আসায় শনিবার রাতেই তাঁদেরকে শিলিগুড়ি কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই পাঁচ জনের মধ্যে তিন জন মাদারিহাটের বীরপাড়া, রামঝোরা চা বাগান, গোপালপুর, একজন কুমারগ্রামের কামাখ্যাগুড়ি ও একজন ফালাকাটার আলিনগরের বাসিন্দা।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা বলেন, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষায় ট্রুন্যাট মেশিনের সোয়াব টেস্টের ফল মান্যতা পাওয়ায় আমরা খুশি। আশা করছি এনিয়ে আর কোনও সংশয়, বিভ্রান্তি বা কোনও প্রশ্নচিহ্ন সাধারণ মানুষের মধ্যে থাকবে না। তবে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর শুধুমাত্র ট্রুন্যাট মেশিনের নেগেটিভ ফলাফলই ঘোষণা করতে পারে। সোয়াব টেস্টের পজিটিভ ফল ঘোষণা করার কোনও এক্তিয়ার জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের নেই। পজিটিভ ফল ঘোষণা করতে পারে একমাত্র উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষই।