বিদ্যার্থীরা কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ভালো ফল করবে। বিবাহার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের কারও ... বিশদ
জেলা খাদ্য নিয়ামক জয়ন্ত রায় বলেন, সোমবার থেকে জেলাজুড়ে আমরা ধান ক্রয় শুরু করছি। প্রত্যেকটি ব্লকের কিষাণ মাণ্ডি থেকে আমরা ধান ক্রয় করব। তপন, কুমারগঞ্জ ও কুশমণ্ডির কিষাণ মাণ্ডিতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। তপন ও কুমারগঞ্জের কিষাণ মাণ্ডির পাশে সরকারি গোডাউন পাওয়া গিয়েছে। তাই সেখানেই আমরা ধান কিনব। তবে কুশমণ্ডিতে সেরকম বিকল্প কোনও ব্যবস্থা করতে না পারায় আপাতত সেখানে আমরা ধান ক্রয় করছি না। জায়গা পেলে অবশ্যই কুশমণ্ডি ব্লকেও ধান ক্রয় করা হবে। ধান কেনার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম রাখা হয়েছে। তা মেনেই ধান কেনা হবে।
এবছর ধান কেনার ক্ষেত্রে নতুন কিছু শর্ত খাদ্য দপ্তরের তরফে কৃষকদের বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের কাছ থেকে একমাত্র স্বর্ণ ধান কেনা হবে। পুরো ধান ঝেড়ে নিয়ে আসতে হবে। পাতা বা মাটি বা নোংরা থাকলে সেই ধান খাদ্য দপ্তর নেবে না। একইভাবে ধান শুকনো আছে কি না, তা মেশিন দিয়ে মাপা হবে। জলের পরিমাণ ৭০ শতাংশের নীচে থাকলে তবে সেই ধান ক্রয় করবে খাদ্য দপ্তর। খাদ্য দপ্তরের এমন নির্দেশিকায় বিপাকে পড়েছে জেলার কৃষকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, আগে সব ধান নেওয়া হতো। অনেকেই স্বর্ণ ধান রোপণ করেননি। তাহলে সেইসব কৃষকরা সরকারের কাছে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করা থেকে বঞ্চিত হবেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর কৃষিপ্রধান জেলা। এখানে এবার বোরো ধান চাষ করে কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন লকডাউনের জন্য। এতদিন ধরে খাদ্য দপ্তর ধান কিনছিল না। আবার লকডাউনের ফলে ফড়েরাও চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনছিল না। তার মাঝেই সমস্যা আরও বাড়িয়েছে ঘূর্ণিঝড় উম-পুন। জেলাজুড়ে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হতেই অবশেষে চাপে পড়ে খাদ্য দপ্তর তড়িঘড়ি ধান কেনা চালু করল। আগের বছর কৃষকদের যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল, তা নিয়ে এলেই কৃষকরা ধান দিতে পারবেন। নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে না। আর যাঁদের আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন করা নেই, তাঁদের নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করতে ভোটার কার্ড ও ব্যাঙ্কের পাস বুক নিয়ে আসতে হবে বলে খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। একজন কৃষক প্রতিদিন সর্বাধিক কত পরিমাণ ধান বিক্রি করতে পারবেন, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত খাদ্য দপ্তর নেয়নি। তবে ধান বিক্রিতে প্রতিবছর যে কালোবাজারি হয়ে থাকে, তা বন্ধের দাবি উঠেছে কৃষকদের তরফে। কৃষকদের অভিযোগ, কিষাণ মাণ্ডিতে চালকল মালিকদের সঙ্গে ফড়েদের যোগসাজশ থাকে। তারা খোলা বাজার থেকে কমদামে ধান কিনে কৃষকদের কার্ড নিয়ে এসে তা ওই বিক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি করে। এতে প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চিত হন। এধরনের ঘটনা যাতে বন্ধ করা হয়, সেদিকে কড়া নজরদারির দাবি তোলা হয়েছে চাষিদের পক্ষ থেকে।