কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদন্নোতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে গৌড়বঙ্গের তিন জেলারই নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ৫৬টি, বুধবার ১২৯টি এবং বৃহস্পতিবার ৩৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। অথচ গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিদিন হাজারেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছিল। গত ২৩ মে ১ হাজার ৫৩৪, ২২ মে ৯৬১টি, ২১ মে ৯২৯টি করে নমুনা পরীক্ষা হয়। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, শুক্রবার পর্যন্ত আমরা মোট ১৪ হাজার ২২৯টি নমুনা পরীক্ষা করেছি। তারমধ্যে ২৬৪টি নমুনা করোনা পজিটিভ এসেছে। ১৪ হাজার ২৯টি’র ফল নেগেটিভ পাওয়া গিয়েছে। কিছু নমুনার রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে। বাকি ২ হাজার ২৯৫টি ব্যাকলগ রয়েছে। ২৬ মে ৪৫৬৩টি নমুনা ব্যাকলগ হিসাবে জমে গিয়েছিল। ওইসময় দুটি প্রয়োজনীয় রাসায়নিক ফুরিয়ে গিয়েছিল। ফলে পরীক্ষা অনেক কম হচ্ছিল। রাসায়নিকের সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার পর টেস্টের সংখ্যা বাড়তে থাকে। পাশাপাশি ব্যাকলগও কমে যায়। তবে আগের তুলনায় নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা কিছুটা কমানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, নমুনা সংগ্রহের পর যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়ার জন্য মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। কারণ কারও করোনা পজিটিভ হওয়ার বিষয়টি দেরিতে জানা গেলে সমস্যা বাড়ে। ফল না পাওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অন্যান্যদের সঙ্গে মেলামেশা কমান না। ফলে তাঁর থেকে অন্যদের শরীরেও রোগ সংক্রামিত হতে পারে।
এদিকে উত্তর দিনাজপুরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। জেলায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আটজন। তাঁরা সম্প্রতি মুম্বই থেকে ফিরেছেন। এনিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪৩। সংখ্যার বিচারে উত্তর দিনাজপুর কিন্তু ছাড়িয়েই গেল মালদহ জেলাকে।
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, নতুন আট কোরোনা আক্রান্ত রায়গঞ্জ মহকুমার বাসিন্দা। তাঁরা মুম্বইয়ে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি তাঁরা শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে ফেরেন। ভিনরাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সেই নির্দেশ মতো গত ১০ দিন ধরে এই আটজনও হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ এলেও তাঁদের কিন্তু কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে সেই আট জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনেই থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদিও এবিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।